প্লাস্টিকের চাল-চিনির রমরমায় জেরবার দুই রাজ্য, এখনই সাবধান হয়ে যান
প্লাস্টিকের ডিমের পর , এবার বাজারের নতুন ভেজাল হিসাবে আমদানি হল, প্লাস্টিকের চিনি ও চাল। প্লাস্টিকের চিনিতে যেমন জেরবার কর্ণাটক, তেমনই অন্ধ্র প্রদেশ তেলাঙ্গানার বাজার ছেয়েছে প্লাস্টিকের চালে।
প্লাস্টিকের ডিমের পর , এবার বাজারের নতুন ভেজাল হিসাবে আমদানি হল, প্লাস্টিকের চিনি ও চাল। প্লাস্টিকের চিনিতে যেমন জেরবার কর্ণাটক, তেমনই অন্ধ্র প্রদেশ তেলাঙ্গানার বাজার ছেয়েছে প্লাস্টিকের চালে।
চায়ে গুললে মিষ্টি হচ্ছে না, সরবতে দিলে বিস্বাদ ঠেকছে! এটাই প্লাস্টিকের চিনির প্রধান বৈশিষ্ট। কর্ণাটকের গাড়াক ও টুমকুরে, জমিয়ে চলছে প্লাস্টিকের চিনির কারবার। দেখা যাচ্ছে, এই প্লাস্টিকের চিনি চায়ে মেশালে মুহুর্তে ধোঁয়া উঠতে শুরু করছে চা থেকে। তারপর দেখা যাচ্ছে যে পাত্রে চা বসানো হয়েছে, পাত্রটি পুড়ে যেতে শুরু করেছে।
প্লাস্টিকের চিনি নিয়ে একের পর এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। সেরাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রক এবিষয়ে চিনির নমুনা সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানা জেরবার প্লাস্টিক চালের সমস্যায়। হায়দরাবাদের সরুর নগরের এক বিরিয়ানির দোকানে, এই প্লাস্টিক চাল দিয়ে বিরিয়ানি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে প্রথম। তারপর, হায়দরাবাদেরই আরও একজন পুলিশে অভিযোগ জানান যে , তিনি এক বস্তা চাল কেনার পর দেখেন যে বস্তায় মেশানো রয়েছে প্লাস্টিকের চাল।
ঘটনায় রাতারাতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা জুড়ে। এদিকে মুহুর্তে ছড়িয়ে পরতে থাকে প্লাস্টিক চালের খবর। যার আতঙ্ক এই মুহুর্তে ছেয়ে গিয়েছে গোটা অন্ধ্রপ্রদেশে। অন্ধ্র সরকারের দাবি, রাজ্যের কোনও নাগরিক এবিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লিখে কিছু অভিযোগ জানালেই , সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে সরকার।