পাঠানকোটে পাক জঙ্গি হামলার 'কোড নেম' জানাল এনআইএ
পাকিস্তানে বসে জঈশ জঙ্গিরা গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। টিভি চ্যানেলে সংবাদ দেখে অথবা নানা জায়গা থেকে লিঙ্ক মারফত হামলার দিন খবর জোগাড় করেছে জঙ্গিরা। এই জঙ্গি অপারেশনের 'কোড নেম' রাখা হয়েছিল 'নিকাহ'।
নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর : এনআইএ সোমবারই পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হওয়া জঙ্গি হামলার চার্জশিট জমা করেছে। সেই চার্জশিটে জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে প্রধান অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আজহারকে নিয়ে এই ঘটনায় মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
চার্জশিটে বাকী যে নামগুলি রয়েছে সেগুলি হল মুফতি আবদুল রউফ অসগর (জঈশের সহ প্রধান), শাহিদ লতিফ (জঈশ কম্যান্ডার), কাশিফ জান (প্রধান হ্যান্ডলার)। গোটা ঘটনায় পাকিস্তান যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই তথ্যও আদালতের সামনে পেশ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, জানুয়ারির ২ তারিখ ভোররাতে পাঠানকোটের ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনায় শুধুমাত্র জঈশ জঙ্গি প্রধান মাসুদ আজহার নয়, পাকিস্তানি প্রশাসনেরও সমান হাত রয়েছে।
এই জঙ্গি হামলার জন্য জঙ্গিরা পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদের শারীরিক, মানসিক সমস্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। জেহাদের পাঠ পড়ানো হয়েছিল। এবং এক্ষেত্রে সাহায্য করেছিল পাকিস্তান সেনা ও প্রশাসন।
বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বসে জঈশ জঙ্গিরা গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। টিভি চ্যানেলে সংবাদ দেখে অথবা নানা জায়গা থেকে লিঙ্ক মারফত হামলার দিন খবর জোগাড় করেছে জঙ্গিরা। এই জঙ্গি অপারেশনের 'কোড নেম' রাখা হয়েছিল 'নিকাহ'। আর জঙ্গিদের ডাকা হচ্ছিল 'বারাতি' অর্থাৎ বরযাত্রী নামে।
চার্জশিটে লেখা হয়েছে, পাঠানকোট হামলার ঘটনায় ৭ জন সেনা শহিদ হন। এর মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিরঞ্জন ইকে। এছাড়া আহত হন ৩৭ জন। চারজন জঙ্গিকেই নিকেশ করে সেনা। এই চার্জশিটকে হাতিয়ার করেই রাষ্ট্রপুঞ্জে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করার সওয়াল করবে ভারত।
এনআইএ যে চার্জশিট জমা করেছে তাতে লেখা হয়েছে, জঈশ জঙ্গিরা চেয়েছিল কারা এই হামলা করেছে তা ভারত সরকারকে জানাতে। সেজন্য হাতে লেখা একটি ইংরেজি নোট একটি উর্দু নোট নিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা। তাতে বলা ছিল, সংসদ হামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আফজল গুরুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই এই জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে।