পাঠানকোট হামলায় জড়িত জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে ২০১০ সালে কংগ্রেস আমলে!
নয়াদিল্লি, ১৮ মে : পাকিস্তানের সবুজ সঙ্কেত পেলে সেদেশে গিয়ে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে হামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় তদন্তকারী দল। কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এসে ও কাদের মদতে বায়ুসেনা ঘাঁটির মতো দুর্ভেদ্য জায়গায় জঙ্গি হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা তা অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষ।
তবে তার আগে আরও উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। শাহিদ লতিফ (৪৭) নামে এক পাকিস্তানি ভারতে পাঠানকোটে হামলা চালানো জঙ্গিদের সাহায্য করেছে। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সেনা-জঙ্গি লড়াই চালানো সম্ভব হয়েছে এই লতিফের কাছ থেকেই উল্লেখযোগ্য নানা তথ্য পাওয়ায়।
ভারতীয় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের বাসিন্দা লতিফকে ১৯৯৬ সালে মাদক ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অভিযোগে জম্মু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ২০১০ সালে তাঁকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেইসময়ে কেন্দ্রে ছিল মনমোহন সিংয়ের কংগ্রেস সরকার।
এই লতিফ জঈশ-ই-মহম্মদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আর এই জঈশ জঙ্গি গোষ্ঠীই পাঠানকোট হামলা চালিয়েছে। এবং সেই হামলা চলেছে জঈশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের নেতৃত্বে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে মনমোহন সরকার লতিফকে মুক্ত করে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেইসময়ে মোট ২০ জন পাক জঙ্গিকে পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। কারণ এরা এদের পুরো সাজা খেটে মুক্ত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমান অপহরণ করা হয়েছিল সে সময়ে মাসুদ আজহারের মুক্তির পাশাপাশি লতিফকেও ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সেসময়ে বাজপেয়ী সরকার তা করতে দেয়নি। পরে কংগ্রেস আমলে লতিফ পুরো সাজা খেটে মুক্তি পায়।