চরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লিতে গ্রেফতার পাকিস্তানি দূতাবাসের কর্মী
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি হাই কমিশনের এক কর্মীকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম মেহমুদ আখতার। তার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।
নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর : নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি হাই কমিশনের এক কর্মীকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম মেহমুদ আখতার। তার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিলেও কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকার কারণে তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
[পাকিস্তানি চর মেহমুদ আখতার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জেনে নিন একনজরে]
পাক দূতাবাসের কর্মী এই মেহমুদ আখতারকে গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের জন্য রাজস্থানের বাসিন্দা দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ দমন শাখা। মেহমুদকে গ্রেফতার করা না হলেও জেরা করে এর পিছনে আর কে কে রয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিনের ঘটনার পরই ভারতে পাক হাইকমিশনার আবদুল বসিতকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকেই এই গুপ্তচরবৃত্তির কথা জানানো হয় এবং অভিযুক্ত পাক হাই কমিশনার কর্মীকে দেশ ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশের দাবি, এই মেহমুদের কাছ থেকে বেশ কিছু প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেহমুদের উপরে অনেকদিন ধরেই নজর রাখা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার কথা পাকিস্তানে পৌঁছতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, মেহমুদকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য নয়াদিল্লিকে কড়া সমালোচনাও করেছে ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরেও চরবৃত্তির অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তারা পাকিস্তানি চর ছিল সেটাও প্রমাণ মিলেছিল। সূত্রের খবর, সেই ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া সূত্রের ভিত্তিতেই মেহমুদের উপরে নজর রাখা হয়েছিল। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হল।