কাশ্মীরে রাসায়নিক অস্ত্রে হামলার ছক, পাক জঙ্গিদের গোপন বার্তালাপে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
ক্রমাগত সন্ত্রাসে রক্তাক্ত কাশ্মীর উপত্যকা। আর এই রক্তবন্যা যে কিছুতেই বন্ধ করতে রাজি নয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি , তা আবারও এক তথ্যে প্রমাণিত হয়ে গেল।
ক্রমাগত সন্ত্রাসে রক্তাক্ত কাশ্মীর উপত্যকা। আর এই রক্তবন্যা যে কিছুতেই বন্ধ করতে রাজি নয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি , তা আবারও এক তথ্যে প্রমাণিত হয়ে গেল। ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের এক বিশেষ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াতে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীকে রাসায়নিক অস্ত্র কেনায় মদত দিয়ে চলেছে ইসলামাবাদ।
শুধু কাশ্মীর নয়, গোটা ভারতে যাতে নাশকতা চালানো যায়, তার উপযুক্ত পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে। গোয়েন্দা সূত্রে এক 'টেপ' রেকর্ড থেকে এই খবর জানা গিয়েছে । এই রেকর্ডে জঙ্গিদের গোপন বার্তা উঠে এসেছে ।
এর আগে, ভারতীয় সেনার গুলিতে নিকেশ হয়েছে বহু জঙ্গি। গোটা কাশ্মীর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে বহু জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন কুখ্যাত জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা। এদের মধ্যে ৩৩ জন লস্কর ও ২৩ জন হিজবুল সদস্য। আর তার বদলা নিতেই পাকিস্তানের এই ছক। মূলত, এই রাসায়নিক অস্ত্র ভারতীয় সেনার ওপর ব্যবহার করার নির্দেশ পেয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হিজবুল জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে মারক রাসায়নিক অস্ত্রও। উদ্ধার হওয়া টেপ রেকর্ডটিতে শোনা গিয়েছে, এক হিজবুল জঙ্গি ইদের পর ভারতে হামলা চালাবার কথা বলছে। উল্লেখ্য়, ইদের পরবর্তী সময়ে কাশ্মীরে একের পর এক হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা, যার সাম্প্রতিক তম উদাহরণ অনন্তনাগে অমরনাথযাত্রীদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ। যে ঘটনায় মারা যান ৭ পুণ্যার্থী।
এখানেই শেষ নয়, জঙ্গিদের ভয়ানক কথোপকথোনে বলা হয়েছে," এখনও পর্যন্ত গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে আমরা ভারতীয় জওয়ানদের ওপর হামলা চালিয়েছি। মাত্র ৩-৪ জন মরেছে বা আহত হয়েছে। এবার সময়, সরাসরি রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা করার। রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যত বেশি সম্ভব ভারতীয় জওয়ানকে হত্যা করতে হবে। ওদিকে পাকিস্তানও তা সমর্থন করছে।" উল্লেখ্য, কাশ্মীর উপত্যকায় এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন।