পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলনে প্রত্যাখ্যান ভারতের, সঙ্গী আরও তিনটি দেশ
নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর : আগামী নভেম্বরে সার্ক সম্মেলনের আসর বসার কথা পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। উরি হামলা ও সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানের মনোভাবের কারণে এই সম্মেলনে ভারত অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সম্মেলনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি তা বাতিল করেছেন।
ভারতের দেখাদেখি এবার তিন বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ভূটানও সার্ক সম্মেলনে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সার্ক সম্মেলন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জানিয়েছে, নভেম্বরে ১৯তম সার্ক সম্মেলনে ইসলামাবাদে তারা যোগ দিচ্ছে না।
এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বক্তব্য, সার্ক গোষ্ঠী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা অগ্রণী ছিল। ফলে আঞ্চলিক মৈত্রী ও সহযোগিতা বজায় রাখতে তারা এখনও তৈরি। তবে তা সুস্থ পরিবেশেই একমাত্র সম্ভব। ফলে এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সার্ক সম্মেলনে অংশ নিতে পারবে না।
সূত্রের খবর, একই কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানও নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি অংশ না নিলে এমনিতেই সম্মেলন বাতিল হয়ে যাবে।
সীমান্ত পেরিয়ে বারবার পাক ভূখণ্ড থেকে আসা জঙ্গিরা এদেশে এসে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বলে ভারত অভিযোগ করে আসছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে সার্ক ভুক্ত ৮টি দেশ আলোচনার টেবলে বসতে পারে না বলেই ভারত জানিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানকে সারা বিশ্ব থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার যে প্রয়াস ভারত নিয়েছে, এটি তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিনে পাকিস্তানকে কিছুটা চাপে ফেলতে ভারত নানা দিক নিয়ে আলোচনা করে চলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সিন্ধু জল চুক্তি পর্যালোচনা। ভারত এবার চাইছে, সিন্ধুর জলের যে উদ্বৃত্ত অংশ পাকিস্তানকে ছাড়া হতো, তা না ছেড়ে দেশের সেচের কাজে লাগানো হবে। এছাড়া পাকিস্তানকে সবচেয়ে সুবিধাভুক্ত দেশের তকমা আর দেওয়া সম্ভব কিনা তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।