কুলভূষণ নিয়ে রায় মানবে না পাকিস্তান? আন্তর্জাতিক আদালত আদতে 'কাগুজে বাঘ'? ভারতের অবস্থান কি হবে তখন?
আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে যাদবকে ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে পারে পাকিস্তান। কারণ নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপুঞ্জের আদালতের নেই। এই অবস্থায় কুলভূষণের কী হবে তা সময়ই বলবে।
কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তানের সেনা আদালতের দেওয়া ফাঁসির আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আদালত। চূড়ান্ত রায় বেরনো না পর্যন্ত কোনওভাবেই ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে পারবে না পাকিস্তান এমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। ফলে এই নির্দেশ ভারতের পক্ষে বড় জয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন আইনজ্ঞরা।
তবে ঘটনা হল, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মধ্যে হওয়া এক মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ মান্য করেনি। ফলে অতীতের উদাহরণ দিয়ে পাকিস্তান সেই পথে হাঁটতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে যাদবকে ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে পারে পাকিস্তান। কারণ নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপুঞ্জের আদালতের নেই।
সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাছে ফের একবার কনস্যুলার অ্যাকসেসের জন্য আবেদন করতে হবে ভারতকে। তবে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ হাতে আসার পরে পাকিস্তান ফের ভারতকে ফিরিয়ে দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
কুলভূষণ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানির বিষয়ে প্রথম থেকেই পাকিস্তান বিরূপ মনোভাব দেখিয়েছে। সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এবার রায় ঘোষণার পরে তা মানা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। যাদবের পরিবার পাকিস্তানি ভিসার জন্য আবেদন জানালেও তা নিয়ে এখনও কোনও তদ্বির করা হয়নি।
যদিও ভারতের তরফে মামলা লড়া আইনজীবী হরিশ সালভে দাবি করেছেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ না মানলে নিরাপত্তা পরিষদের কোপের মুখে পড়তে হবে। কারণ প্রতিটি নির্দেশ ও অন্তর্বতীকালীন রায়দানের আগে তা নিরাপত্তা পরিষদের সামনে পেশ করা হয়।
সালভে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সেনা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ভারত আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদনই জানায়নি। বরং কেন কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়নি তার বিরোধিতা করেছে। এবং জানিয়েছে ভিয়েনা কনভেনশনের বিরুদ্ধ কাজ পাকিস্তান করেছে। আর তাতেই কাজ হয়েছে।
তবে এখন ঘটনা হল, পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদব বেঁচে রয়েছেন কিনা। এতদিন ধরে হইচই চলার পরও পাকিস্তান কুলভূষণের বিষয়ে নামমাত্র কোনও তথ্য সামনে আনেনি। কেউ কেউ দাবি করেছেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যে কুলভূষণের ফাঁসি কার্যকর করে দিয়েছে। তা নিয়েও কোনও বিবৃতি দেয়নি নওয়াজ শরিফ সরকার। ফলে এখন দেখার বিষয় কুলভূষণ ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন।
{promotion-urls}