কাশ্মীরে হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে নাশকতার জাল ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা, এনআইএ তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের স্যোশাল মিডিয়ার গতিবিধি লক্ষ্য করে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট তুলে এনেছে এনআইএ।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের স্যোশাল মিডিয়ার গতিবিধি লক্ষ্য করে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট তুলে এনেছে এনআইএ। মূলত হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসের জাল বোনা চলছে। এনআইএ তদন্তে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ২৮টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করার চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা পাকিস্তানে বসে গ্রুপ তৈরি করে কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
এদের মধ্যে জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ত্রাসবাদীরাও রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। সবমিলিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ৫ হাজার সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই কাশ্মীরি যুবক। এদের সঙ্গে পাকিস্তানি মোবাইল নম্বর বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নানা উসকানিমূলক বার্তা দিয়ে, লোভ দেখিয়ে কাশ্মীরি যুবকদের ইঁট ছোঁড়া ও বিক্ষোভের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের কাজেও লাগানো হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
এনআইএ-র দাবি, এই ধরনের স্যোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্য হল মুহূর্তে কাশ্মীর এলাকার সমস্ত আপডেট স্থানীয় যুবকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে উত্তেজনা বহাল রাখা ও অশান্ত এলাকাকে আরও অশান্ত করে তুলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা।