১৬০ জনের 'অস্থি বিসর্জন' দিতে পাকিস্তানি হিন্দু পুরোহিত এলেন ভারতে
মুম্বই, ২১ সেপ্টেম্বর : উরি ঘটনার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানে সম্পর্কের তিক্ততা স্বাভাবিকভাবেই আরও বেড়েছে। এই উত্তেজনার আবহেই করাচির মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ভারতে এলেন সেখানকার ১৬০ জন হিন্দুর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে। হরিদ্বারে পাকিস্তানের এই হিন্দুদের অস্থি বিসর্জন করতে। [ পুণ্যস্নান এবং সঙ্গে ১১ টাকা দিলেই এই মন্দিরে মিলবে পাপমুক্তির লিখিত 'সার্টিফিকেট'!]
করাচির মন্দিরের এই প্রধান পুরোহিতের নাম শ্রী রাম নাথ মহারাজ। মহারাজের পূর্বপুরুষরা দেশভাগের আগেই উত্তরপ্রদেশ থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানে থাকতে শুরু করেছিলেন। পাকিস্তানের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পবিত্র পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরের প্রধান পুরোহিত।[(ছবি) কবর থেকে বের করে মৃত আত্মীয়ের "মেক-ওভার"! এটাই প্রথা এখানে!]
রাম নাথ মহারাজের পদবীতে মিশ্র রয়েছে। ভাগ্নে কবীর ও অন্য এক আত্মীয়ের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তিনি। প্রথমে তিনি পৌঁছন মুম্বইয়ে। সেখান থেকে যান হরিদ্বার। মহারাজের কথায়, "পাকিস্তানের হিন্দুদের শেষ ইচ্ছে ছিল তাদের অস্থি যেন গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। আমরা একসঙ্গে অনেকে এসে এই কাজ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা মাত্র কয়েকজনই ভিসা পেয়েছি।" [(ছবি) ভারতের সেরা ৯ 'ভণ্ড তপস্বী' ও তাঁদের মহান কীর্তি!]
মহারাজ বলেন, পাকিস্তানি হিন্দুদের কাছে গঙ্গাবক্ষে তাদের অস্থিবিসর্জন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তাদের পরিবারের সদস্য এই রীতি পালন করার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেন। যাদের অস্থি, বিসর্জনের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মৃত্যু তিন-চার বছর আগেই হয়ে গিয়েছে। পাঁচ বছর আগে এসেও ১৩৫ জনের অস্থি বিসর্জন রীতি পালন করে গিয়েছিলেন রাম নাথ মহারাজ। [ "সেনা পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান চাইলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর আগেই আমাদের হত"]