প্রতি বছর ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করে, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
সারা দেশে কৃষকদের সামাজিক সুরক্ষা ও আয় বাড়ানোর নানা পন্থা অবলম্বন করা হলেও বাস্তব ঘটনা হল ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ হাজার জন করে কৃষক আত্মহত্যা করছেন।
নয়াদিল্লি, ২ মে : সারা দেশে কৃষকদের সামাজিক সুরক্ষা ও আয় বাড়ানোর নানা পন্থা অবলম্বন করা হলেও বাস্তব ঘটনা হল ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ হাজার জন করে কৃষক আত্মহত্যা করছেন।
বিচারপতি জেএস খেহর ও বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও সঞ্জয় কিষণ কউলের নেতৃত্বে তৈরি বেঞ্চ সরকার কৃষকদের দুর্দশা ও আত্মহত্যা ঠেকাতে কি পদক্ষেপ করেছে তা শুনেছে। কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন ও তার দাম ও শস্য বীমার মতো সহায়তা কৃষকদের প্রদান করা উচিত বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।
কেন্দ্র নীতি আয়োগের মাধ্যমে কৃষকদের আত্মহত্যা ঠেকাতে নতুন রণকৌশল সামনে আনার কথা বলেছে। তবে সরকারকে উদ্দেশ্য করে আদালতের বক্তব্য, নীতি আয়োগকে সর্বস্ব দিয়ে সরকার সাহায্য করছে। তবে এতে কতটা লাভ হচ্ছে? প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের।
সরকারের হয়ে সলিসিটর জেনারেল পিএস নরসীমা জানান, সরকার কৃষকদের নিম্ন আয়ের বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল। দেশের বহু কৃষক দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। তাই এই ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ফলে কৃষকদের আয় বাড়লে নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আর সেই লক্ষ্যেই আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কেন্দ্র কাজ করে চলেছে। এক স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার করা মামলার প্রেক্ষিতে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনাকে নিয়ে হাইপ তৈরি হওয়ার পরও ২০ শতাংশ ছোট ও দরিদ্র প্রান্তিক কৃষকদের কাছে এর সুবিধা পৌঁছয়নি।
এদিকে আদালতে স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার অভিযোগ, হাজার হাজার কোটি টাকা বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলিকে দিয়ে রাখা হয়েছে। এর বদলে বরং কৃষিজাত নানা কাজে সরকার ভর্তুকি দিক।
আদালতে দেওয়া কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে ১২৬০২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ৮০০৭জন কৃষক ও ৪৫৯৫জন খেতমজুর। এছাড়া সবমিলিয়ে সারা দেশে মোট ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬২৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪২৯১জন কৃষক মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছেন। তারপর রয়েছে কর্ণাটক (১৫৬৯ জন), তেলঙ্গানা (১৪০০ জন), মধ্যপ্রদেশ (১২৯০ জন), ছত্তিশগড় (৯৫৪ জন), অন্ধ্রপ্রদেশ (৯১৬ জন), তামিলনাড়ু (৬০৬ জন)।