আজ উত্তাল হতে চলেছে সংসদের অধিবেশন, বিস্তারিত জেনে নিন
সোমবার উত্তাল হতে চলেছে সংসদ। গোরক্ষার নামে গণপ্রহার, হত্যা, পানামা পেপার্সে বিজেপি সাংসদদের নাম ছাড়াও গুজরাতে বিধায়ক কেনাবেচার মতো ইস্যুতে সোমবার সরব হতে চলেছে বিরোধীরা
সোমবার উত্তাল হতে চলেছে সংসদ। পাঁচদিনের সাসপেনশন শেষে লোকসভায় যোগ দেবেন অধীররঞ্জন চৌধুরী, সুস্মিতা দেব, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শাউটিং ব্রিগেডের ছয় সাংসদ। ফলে লোকসভায় প্রবল বিরোধিতার আওয়াজে যে খামতি থাকবে না, তা বলাই যায়।
গোরক্ষার নামে গণপ্রহার, হত্যা, পানামা পেপার্সে বিজেপি সাংসদদের নাম ছাড়াও গুজরাতে বিধায়ক কেনাবেচার মতো ইস্যুতে সোমবার সরব হতে চলেছে বিরোধীরা। সোমবার গোরক্ষা ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে তৃণমূলও। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং তৃণমূলের সৌগত রায়ের দেওয়া নোটিসের ওপর ভিত্তি করেই আলোচনা হবে বিষয়টি নিয়ে।
গোরক্ষার নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার একথা বলার পরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে গোরক্ষার নামে গণপ্রহার। মারা গিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, আরজেডি, এনসিপির মতো বিরোধীদলের সাসংদরা। কিন্তু সরকার রাজি হয়নি। পণ্ড হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। বাদল অধিবেশনের শেষ পর্ব ঠিক মতো চালাতে তাই বিরোধীদের দাবি মেনে গোরক্ষা ইস্যুটি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে সরকার, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খুললেও, কাজ না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দাঁড়িয়ে জবাব দিতে হবে বলে দাবি বিরোধীদের। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে আলোচনা থেকে পালাতে চাইছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, গোরক্ষার নামে কতগুলো লোক গোরাক্ষস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার লোকসভা উত্তাল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, পানামা পেপার্সে নাম প্রকাশিত হওয়ার জেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। সেই একই বিষয়ে মোদীর দলের সাংসদরা জড়িত থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। পানামা পেপার্সে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের ছেলে তথা বিজেপি সাংসদ অভিষেকের নাম রয়েছে। গত বছর এপ্রিলে পানামার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেও তা কিছুটা ধামা চাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের আদালতের নির্দেশ মতো পানামাকাণ্ডে নওয়াজ শরিফ ইস্তফা দিতে বাধ্য হওয়ার পর ফের ভারতের রাজনীতিতেও বিষয়টি নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ কংগ্রেস।
একইসঙ্গে গুজরাতের রাজ্যসভার নির্বাচনে কংগ্রেস বিধায়কদের ঘুষ দেওয়া ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার একটি আসন পাওয়ার জন্য গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর দল ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনেছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। সেখানে সুবিচার না পেলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হবে বলে কংগ্রেসের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে।