এই ব্যক্তিকেই সিমলার রাষ্ট্রপতি আবাস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আজ তিনি দেশের সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি
ভাবী রাষ্ট্রপতি ব্রাত্য। সিমলার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের গেট থেকে কেন ফিরলেন রামনাথ কোবিন্দ।
ভাবী রাষ্ট্রপতিকেই কিনা সিমলার রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে দিলেন না। এমনই ঘটনা ঘটেছে সপ্তাহ তিনেক আগে।
মে মাসে হিমাচল প্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন বিহারের রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রাম নাথ কোবিন্দ। আটাশে মে তিনি রাজভবনে পৌঁছন। আবার অন্য দিক থেকে হিমাচলের রাজ্যপাল আচার্য দেভরথ কোবিন্দের বিশেষ বন্ধু। দুজনেই একই দিনে রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
সিমলায় পৌঁছনোর পর দিনই অর্থাৎ উনত্রিশে মে ছিল আচার্য দেভরথের বিবাহ বার্ষিকী। সে-জন্য বন্ধু কোবিন্দ উপহার হিসেবে আমও নিয়ে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, পরের দিন অর্থাৎ ত্রিশে মে ছিল কোবিন্দেরও বিবাহ বার্ষিকী। সিমলায় থাকাকালীন কোবিন্দ কোথায় ঘুরবেন সে বিষয়ে কোনও কিছুই ঠিক ছিল না। অতএব বন্ধু রাজ্যপালের পরামর্শ দাতা অধ্য়াপক শশীকান্ত শর্মা তাঁকে সিওগ সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এবং রাষ্ট্রপতির আবাস রির্ট্রিটে ঘুরে দেখতে পরামর্শ দেন।
কিন্তু কোবিন্দ সিমলার সেই রাষ্ট্রপতির প্রাসাদেই পৌঁছে যান। কিন্তু অনুমতিপত্র না থাকায় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেননি। কেননা কোবিন্দের কাছে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নেওয়া কোনও অনুমতি ছিল না।
কোবিন্দ বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পর, শশীকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, সিওগ সংরক্ষিত অভয়ারণ্যে গেলেও, কোবিন্দ রিট্রিটে যাওয়ার সময় পাবেন না বলেই ভেবেছিলেন তিনি। যদিও ঘটনাচক্রে কোবিন্দ রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে পৌঁছে যান। কিন্তু চিনতে না পারায় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঢুকতে দেননি। নিরাপত্তারক্ষীরা কি আদৌ ভেবেছিলেন, এই ব্যক্তিই রাষ্ট্রপতি হয়ে এই প্রাসাদেই ফিরে আসার প্রবল সম্ভাবনা হয়েছে।
সিমলার মাসোবরায় পাহাড়ের চূড়ায় রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ রিট্রিট তৈরি হয়েছিল আঠারোশো পঞ্চাশ সালে। ভূমিকম্প নিরোধক করার জন্য পুরো প্রাসাদটাই কাঠের সঙ্গে পাথর দিয়ে তৈরি। এবং ভাইসরয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় আঠারোশো পঁচানব্বই সালে। বছরে অন্তত একবার রাষ্ট্রপতি এই প্রাসাদে আসেন এবং সঙ্গে তার পুরো অফিসটাই তুলে আনা হয় ওই সময়ের জন্য।