ফের ওড়িশা, মরা মেয়েকে কাঁধে চাপিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি শোকগ্রস্ত বাবার
শববাহী গাড়ি না পেয়ে মরা মেয়েকে কাঁধে চাপিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হল শোকগ্রস্ত বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার আঙ্গুলে।
ভুবনেশ্বর, ৭ জানুয়ারি : ওড়িশা যেন অমানবিকতার সেরা উদাহরণ হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে। এর আগে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মরা স্ত্রীর দেহ কাঁধে চাপিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছিল স্বামীকে। আর একটি ঘটনায় মৃতদেহ গাড়িতে না নিয়ে খরচ বাঁচাতে হাড়গোড় ভেঙে দলা পাকিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলেছিল পুলিশ।
এবারও ফের একইরকমের অমানবিকতার উদাহরণ তৈরি হল ওড়িশায়। শববাহী গাড়ি না পেয়ে মরা মেয়েকে কাঁধে চাপিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হল শোকগ্রস্ত বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার আঙ্গুলে।
পেচামুণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা গতি ধীবরের পাঁচ বছরের মেয়ে মারা গেলে তাঁকে ফিরিয়ে এনে সৎকার করার জন্য প্রয়োজনীয় গাড়িটুকু পাওয়া যায়নি। ফলে মেয়েকে কাঁধে চাপিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতে হয়েছে তাঁকে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশার মালকানগিরিতে। সেখানে একইরকমভাবে মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে ৬ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছিল বাবাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মেয়ের মৃত্যু হলে গাড়ির চালক তাদের মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
বারংবার একই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে দিল যে ওড়িশার বিজু জনতা দলের সরকার অতীতের ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি। নবীন পট্টনায়েকের সরকার শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করলেও তা যে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তা এই ধরনের ঘটনা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
#WATCH: A father carried her daughter's dead body on his shoulders for 15 kms in Angul(Odisha) after he failed to get hearse service (Jan 4) pic.twitter.com/odZKwjK1Dt
— ANI (@ANI_news) January 6, 2017