'পাঠানকোট হামলার সময় আটকে থাকা দুই রক্ষীকে উদ্ধারের আবেদনে পাত্তা দেয়নি এনএসজি'
গতবছর পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার সময় বন্দুকবাজজের কবজায় আটকে থাকা দুই প্রতিরক্ষা রক্ষীকে উদ্ধারের আবেদনে পাত্তা দেয়নি এনএসজি। এনআইএ-র কাছে এমনটাই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেম এক বায়ুসেনা আধিকারিক।
নয়াদিল্লি, ৫ ফেব্রুয়ারি : গতবছর পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার সময় বন্দুকবাজজের কবজায় আটকে থাকা দুই প্রতিরক্ষা রক্ষীকে উদ্ধারের আবেদনে পাত্তা দেয়নি এনএসজি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র কাছে এমনটাই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেম এক বায়ুসেনা আধিকারিক।
তিনি জানিয়েছিলেন, "আমি ওয়্যারলেস সেটে রেডিও ট্রান্সমিশনে শুনতে পেয়েছিলাম, প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীরা চেঁচাচ্ছিল, একজন মারা গিয়েছে, ২ জন আহত। কেউ এসে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান। নয়তো আমরাও মারা যাব।"
ওই বায়ুসেনা আধিকারি উইং কমান্ডর অভিজিৎ সারিনের দাবি, তারপরই আমি এনএসজি আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্ধারকাজের জন্য একটি দল তৈরি করতে বলি। কিন্তু তাতে গা করেননি তিনি।
সম্প্রতি মোহালিতে স্পেশ্যাল কোর্টে এনআইএ চার্জশিট দায়ের করেছে। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে ৪ জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এবং ১ জানুয়ারি পাঠানকোটের বায়ুসেনা ছাউনিতে প্রবেশ করে তারা । ২৪ ঘন্টা ছাউনিতেই তারা লুকিয়ে ছিল। এরপর ২ জানুয়ারি রাত ২ টো ৪৫ মিনিটে তারা হামলা চালায়। সেনা বাহিনী ভোর ৪ টে ১৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছয়।
পাঞ্জাবের পুলিশ সুপার যাকে ৩১ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয়েছিল, এবং পরে বায়ুসেনা ছাউনি থেকে কিছু দুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার সঙ্কেত পেয়েতেই এনএসজি পাঠানকোটে দিকে এগোয়।
যদিও এনএসজি সূত্রের তরফে ইং কমান্ডর অভিজিৎ সারিনের দাবি নস্যাৎ করা হয়েছে। এনএসজির তরফে জানানো হয়েছে, এনএসজিই উদ্ধারকাজ করেছে। সেখানে বিদেশি পড়ুয়ারা ছিল পরিবার ছিল, সবাইকে সুরক্ষিত বের করে আনার দায়িত্ব ছিল এনএসজির।