বাস্তবে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ হয়ে উঠলেন 'বজরঙ্গী ভাইজান'
নয়াদিল্লি, ৩ অগাস্ট : মূক ও বধীর এক ভারতীয় যুবতী কোনওভাবে পাকিস্তানে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছে। কোনওভাবেই দেশে ফিরতে পারছেন না। একথা রবিবারই প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। এবং একথা জানার পরই দ্রুত পদক্ষেপ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। [পাকিস্তানে ১৩ বছর আটকে ভারতীয় মেয়ে, প্রয়োজন একজন 'বজরঙ্গী ভাইজান'-এর]
সিনেমার পর্দায় সলমন খান হয়েছেন 'বজরঙ্গী ভাইজান'। তবে বাস্তবে সুষমাই এই ভূমিকা নিলেন। টুইট করে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা ভারতীয় দূত টিসিএ রাঘবনকে তিনি এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন। করাচিতে গিয়ে যাতে তিনি ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা করে আসেন, তেমন নির্দেশও দেন সুষমা স্বরাজ। [সলমন খানের সেরা পাঁচ সিনেমার লিস্ট]
রবিবারই জানা গিয়েছিল, এক ভারতীয় মেয়ে কোনওভাবে ওপারে পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে। সে একইসঙ্গে মূক ও বধীর। বহু চেষ্টা করেও তাকে দেশে ফেরানো যায়নি। গত ১৩ বছর ধরে সে পাকিস্তানে রয়েছে। এখন তাঁর বয়স ২৩ বছর। ['বজরঙ্গী ভাইজান'-এর তৈরি ১০টি বক্স অফিস রেকর্ড]
পাকিস্তানের একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার তত্ত্ববধানে সে রয়েছে। তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে গীতা। জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁকে পাওয়ার পরে লাহোরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে করাচিতে রয়েছে সেই মেয়েটি। [গোপনে 'বজরঙ্গী ভাইজান'-এর সেটে হাজির ক্যাটরিনা!]
কোনওভাবে দুই দেশের সীমান্ত পেরিয়ে সে পাকিস্তানে ঢুকে গিয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। শুনতে ও বলতে না পারার জন্য গীতাকে ভারতে ফেরানোর সব চেষ্টা বিফলে গিয়েছে।
কথা বলতে বা শুনতে না পারলেও ভারতের মানচিত্র দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল গীতা। প্রথমে ঝাড়খণ্ড রাজ্য়ের দিকে ইশারা করলেও পরে সে তেলেঙ্গানা রাজ্যকে দেখায়। আগের কোনওকিছুই সেভাবে তার থেকে জানা যায়নি।
এই ঘটনা জানার পরই দ্রুত তৎপরতা দেখান সুষমা স্বরাজ। তবে তিনি বাস্তবের বজরঙ্গী ভাইজান হয়ে উঠতে পারবেন কিনা তা সময়ই বলবে।