কোনও চক্র নয়, 'সেক্স ক্লিপস' কাণ্ডের পিছনে রয়েছে বেঙ্গালুরুর যুবক!
নয়াদিল্লি, ৭ জুলাই : তরুণী-যুবতীতের যৌন ভিডিও ফোনে, চ্যাটে, অ্যাপে, সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পুলিশের অনুমান ছিল কোনও গোষ্ঠী বা চক্র এই গোটা অপারেশনটা চালাচ্ছে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারল কোনও গোষ্ঠী বা চক্র নয়, বেঙ্গালুরুর এক যুবকের কামুক আবেশই রয়েছে 'সেক্স ক্লিপস' কাণ্ডের পিছনে।
তিন মাস তদন্ত চালানোর পর সিবিআই জানতে পেরেছে ওই যুবকের নাম কৌশিক কুনোর। মূলত ভারতীয় মহিলাদের নিয়েই তৈরি যৌন ভিডিও ক্লিপস সে ডাউনলোড করত পর্নো ওয়েবসাইট থেকে। বন্ধুদের কাছে বা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে সে নিজে সেই ভিডিও ক্লিপগুলিকে এডিট করত।
বিভিন্ন মহিলাদের নিয়ে এই ধরণের ৯ টি যৌন ভিডিও সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও অ্যাপে ভাইরাল হয়েছে। এরপরই শীর্ষ আদালত সিবিআইকে এই ঘটনার তদন্তভার দেয়।
কৌশিকের তল্লাশি নিয়ে সিবিআই ৪৭০টি পর্নো ক্লিপিং উদ্ধার করেছে। এছাড়াও উন্নত মানের এডিটিং সফটওয়্যার, যন্ত্রপাতি, গোপন ক্যামেরা এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশের অনুমান ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল প্রচুর টাকা রোজগার।
সূত্রের খবর, মে মাসে কুড়ি বছরে পা দিয়েই গ্রেফতার হয়েছিল সে। এই ধরনের পর্নো ভিডিও নিয়ে একটা অন্য জগতে রয়েছে কৌশিক। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, কৌশিক বিভিন্ন পর্নোসাইট থেকে যে ভিডিওগুলি ডাউনলোড করতে তা এডিট কতরে তারিখ পরিবর্তন, ভিডিওয় যে মহিলাদের দেখা যেত তাদের পরিচয় বদলে দিত সে। এরপর সেই ভিডিওগুলি বন্ধুদের ফোনে পাঠিয়ে দিত। এইভাবেই চেন পদ্ধতিতে ভিডিওগুলি ছড়িয়ে যেত এবং ভাইরাল হয়ে যেত।
তদন্তকারীদের কথায়, কৌশিক সম্ভ্রান্ত পরিবারের। কিন্তু এই ধরণের ভিডিও তৈরি করা য়ে ক্রমশ তাঁর পেশায় পরিণত করে। ভিডিওগুলিতে একটি ক্লিকের জন্যও সম্ভবত কৌশিক টাকা পেতেন। এই ঘটনায় কৌশিকের নামে ৮ টি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে।
কৌশিকের আগে ওডিশা থেকে সুব্রত সাহু ওরফে কালিয়া এবং দেবাশিস দেব নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।