(ভিডিও) ঝাড়খণ্ডের এই গ্রামে মিড ডে মিলের নামে খেতে দেওয়া হয় ইঁদুর-খরগোশ
ঝাড়খণ্ডের চুহা গ্রামে খাতায় কলমে স্কুল রয়েছে, মিড ডে মিলও নাকি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে কিছু নেই। পেট ভরতে পড়ুয়ারা ইঁদুর খরগোশ শিকার করে খায়। প্রকল্পের টাকা কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না।
রাঁচি, ১৭ মার্চ : দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঝে মাঝেই মিড ডে মিল খেয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা শোনা যায়। কখনও শোনা যায়, খাবারের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, মরা টিকটিকি, কখনও মরা ইঁদুর। কিন্তু এমন স্কুলও আছে যেখানে মিড ডে মিলের নামে ইঁদুর-খরগোশ খেতে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের সেখবর কি কারও জানা আছে?[আধার কার্ড না থাকলে মিলবে না মিড ডে মিল, নির্দেশিকা কেন্দ্রের]
ইংরাজি সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভি-র একটি রিপোর্টে এমনই গা শিউরে দেওয়া তথ্য ধরা পড়েছে। ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার খবর যেখানে খিদে পেলে বাচ্চারা ইঁদুর খরগোশ খেয়ে ফেলে।[ধোঁয়া থেকে বাঁচতে স্কুলে এলপিজি! পরিকল্পনা শিক্ষাদফতরের]
টিভি রিপোর্ট বলছে, সাহেবগঞ্জ জেলার রাজমহল হিল বলে একটি জায়গা রয়েছে। যেখানে কম করে দুটি এমন স্কুল রয়েছে যেখানে মাস্টারমশাই বা দিদিমণির নামগন্ধ নেই। শিক্ষক নেই তাই পড়ুয়াও নেই। এখানকার একটি গ্রাম চুহা (বাংলায় যার অর্থ ইঁদুর) গ্রাম নামেই পরিচিত।[ইঁদুর মারতে তের কোটি টাকার প্রকল্প]
গ্রামের প্রধানের কথায় শুরুর দিকে এই স্কুলগুলিতে ৫০-৬০ টা করে পড়ুয়া থাকত। কিন্তু ধীরে ধীরে শিক্ষক আসা বন্ধ করে দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও কমতে থাকে।[(ছবি) জনপ্রিয় কার্টুন 'টম অ্যান্ড জেরি' নিয়ে এই ১০টি তথ্য সম্ভভত আপনি জানেন না]
গ্রামের ছাত্রদের কথায়, প্রথম প্রথম মিড ডে মিল পাওয়া যেত। আস্তে আস্তে মিড ডে মিলও বন্ধ হয়ে যায়। খিদে মেটাতে ছোটরা ইঁদুর খরগোশ শিকার করে খেতে শুরু করে। এর ফলে কখনও ডায়রিয়া, কখনও আন্ত্রিক, কলেরার মতো রোগ হয় শিশুদের।
খাতায় কলমে এখানে স্কুল রয়েছে, মিড ডে মিলও নাকি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে স্কুলও নেই, নেই মিড ডে মিলও। শুধু কাগজে কলমে এখানে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু আছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, খাতায় কলমে যখন প্রকল্প চালু রয়েছে তখন তার টাকাও সরকারের থেকে আসছে। কিন্তু সেই টাকা যাচ্ছে কোথায়? উত্তর মেলেনি।