থাকার ঘর নেই, ১৬ বছরের অনশন ভেঙেও সেই হাসপাতালেই শর্মিলা
ইম্ফল, ১১ অগাস্ট : ১৬ বছরের কঠোর অনশন শেষ করেছেন মঙ্গলবার। কিন্তু তাতেও স্বস্তি ফেরেনি ইরম চানু শর্মিলার জীবনে। ফিরবে কীভাবে, থাকার ঘরই যে জোটেনি তাঁর। ফলে বাধ্য হয়ে ফের একবার হাসপাতালের বিছানাই সঙ্গী হয়েছে শর্মিলার। ['আফস্পা' আসলে কি? যার জন্য ১৬ বছর অনশন করলেন ইরম চানু শর্মিলা!]
আফস্পা নিয়ে আন্দোলন, অনশন চালিয়ে বিগত ১৬ বছর তাঁর ঠিকানা ছিল হাসপাতালের বিছানা। মণিপুরের লৌহমানবী ইরম চানু শর্মিলা অনশন প্রত্যাহারের পর ফিরে যেতে চেয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। তবে পরিবার তো বটেই, এমনকী এলাকার মানুষও তাঁকে জায়গা দেননি। ফলে বাধ্য হয়ে পুরনো জায়গায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছে। এই ঘটনার পরে রীতিমতো হতাশ ইরম শর্মিলা নিজেও। কারণ মণিপুরের ইস্কন মন্দিরও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে, থাকতে দেয়নি।
মণিপুরের
রেড
ক্রস
সোস্যাইটি
অবশ্য
শর্মিলার
পাশে
দাঁড়িয়েছে।
সোস্যাইটির
পক্ষ
থেকে
জানানো
হয়েছে
বিকল্প
ব্যবস্থা
না
হওয়া
পর্যন্ত
একটি
থাকার
জায়গা
দেওয়া
হবে
ইরম
শর্মিলাকে।
মণিপুর
রেড
ক্রস
সোস্যাইটির
সম্পাদক
ওয়াই
মোহন
সিং
জানান,
খবরটি
অত্যন্ত
দুঃখজনক।
মানবিকতার
খাতিরে
তাই
আমরা
সিদ্ধান্ত
নিয়েছি
যে
ইরম
শর্মিলার
আপাতত
থাকার
ব্যবস্থা
আমরা
করব।
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মণিপুর থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ২০০০ সালে যখন অনশন শুরু করেছিলেন শর্মিলা তখন জানিয়ে দিয়েছিলেন, আফস্পা প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত তিনি বাড়িতেও ঢুকবেন না, মায়ের মুখ পর্যন্ত দেখবেন না। গত ১৬ বছরে মাত্র একবারের জন্য মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
বুধবার হাসপাতালে ফিরে ইরম শর্মিলা জানান, তার লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি। বদল হয়েছে শুধুমাত্র লড়াইয়ের অভিমুখ। আফস্পা প্রত্যাহারের জন্য যে লড়াই শুরু হয়েছিল তা জারি থাকবে বলে তিনি জানান। তবে মণিপুরের বহু সাধারণ মানুষ ইরম শর্মিলার অনশন প্রত্যাহারকে মেনে নিতে পারেনি। সমাজকর্মী ভিক্টর রোজ অবশ্য ইরমের পক্ষ নিয়ে বলেন, "এতদিন আমরা তাঁর সঙ্গে অবিচার করে এসেছি। স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার তাঁরও রয়েছে"।