নির্ভয়া কাণ্ড : 'পুরো ঘটনাই পরিকল্পনা করেছিল এক রাজনৈতিক নেতা ও নির্ভয়ার প্রেমিক'!
নয়াদিল্লি, ৯ অগাস্ট : ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লির 'নির্ভয়া কাণ্ড' নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। বাসের মধ্যে নৃশংসভাবে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে অত্যাচার চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পরে সেই তরুণী হাসপাতালে মারা যায়। এই ঘটনার পর অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের সাজাও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন দোষীদের আইনজীবী।
দোষীপক্ষের আইনজীবী এমএল শর্মা এর আগে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়েই দাবি করেছিলেন, নির্ভয়াকে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে এর প্রমাণ দিতে পারলে তিনি ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার সর্বোচ্চ আদালতে দাঁড়িয়ে ফের ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ ও পবনের হয়ে আরও গুরুতর সওয়াল করলেন তিনি। এমএল শর্মার অভিযোগ, "১৬ ডিসেম্বর, ২০১২ সালের ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন এক রাজনৈতিক নেতা ও নির্ভয়ার প্রেমিক। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।"
শর্মার আরও অভিযোগ, "মুখ বন্ধ রাখার জন্য রাম সিং (অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত যে তিহার জেলে আত্মহত্য়া করেছে) এর ভাইকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল সমস্ত ঝামেলা থেকে তাদের বের করে আনা হবে। তবে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়।"
"গোটা ঘটনায় বিরক্ত রাম সিং এর পরে গোটা ঘটনা আদালত ও সংবাদমাধ্যমে জানাতে চেয়েছিল। তবে সেকথা জানার পরই রাম সিংকে খুন করা হয়। এবং গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসাবে তুলে ধরা হয়। রামের ভাই মুকেশও খুন হওয়ার ভয় পাচ্ছিল। কারণ ওর উপরেও অত্যাচার হয়েছে। সেজন্যই পুলিশ যা শিখিয়েছে সেই কথাই আদালতে জানিয়েছে মুকেশ।"
আইনজীবী শর্মা আরও জানিয়েছেন, "মুকেশ জানে যে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। তাই সে সত্যিটা সকলকে জানাতে চায়। তবে এতদিন খুনের ভয়ে সে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি।"
এসব বক্তব্য শুনে বিচারপতি দীপক মিশ্র জানান, আগে যেসমস্ত প্রমাণ নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই সওয়াল করতে হবে দোষীদের আইনজীবীকে। নতুন করে কোনও প্রমাণ তিনি আদালতে পেশ করতে পারবেন না। যে প্রমাণ রেকর্ড করা রয়েছে, তার ভিত্তিতেই সওয়াল করা যাবে। নিজের ইচ্ছামতো সওয়াল-জবাব আদালত মঞ্জুর করবে না।