এনআইএ-র জালে গিলানির জামাই সহ ৭, উপত্যকায় হিংসা ছড়ানোর ছক ফাঁস
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির জামাতা সহ ৭ জন হুরিয়ত নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের সঙ্গে আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগ ।
কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির জামাই সহ সাতজনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তাঁদের বিরুদ্ধে উপত্যকার কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে।
এনআইএ-র জালে ধৃত সাতজন হল আলতাফ শাহ, আয়াজ আকবর, পীর সইফুল্লাহ, মেহরাজ কালওয়াল, শাহিদ উল ইসলাম, নঈম খান ও বিট্টা কারাটে। এদের মধ্যে আলতাফ শাহ হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাই। অপরদিকে শাহিদউল ইসলাম আরেক হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে এবং আয়াজ আকবর হুরিয়ত কনফারেন্সের মুখপাত্র। তবে গত মে মাসের নঈম খানকে দল থেকে সাসপেন্ড করেন গিলানি। একটি স্টিং অপারেশনে তাকে স্বীকার করতে শোনা যায় যে উপত্যকায় হিংসা ছড়াতে সে পাক জঙ্গিদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। এরপরই তাকে সাসপেন্ড করা হয়।
গত মাসেই শ্রীনগরে আলতাফ শাহের বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। সেইসঙ্গে অন্যান্যদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ তৈবার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সঙ্গে আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগ করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে নগদ ২ কোটি টাকা, কিছু পাশবই এবং লস্কর ও হিজবুল মুজাহিদিনের কিছু লেটার হেড বাজেয়াপ্ত করছে এনআইএ গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন:দিল্লিকে না জানিয়েই নওয়াজকে চিঠি দিল্লির শাহী ইমামের, কাশ্মীর নিয়ে অবতারনায় বিতর্ক]
এই সাতজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি এফআইআর-এ জামাদ- উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদের নামও রয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে।