'বিমান দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন নেতাজি', বক্তা তাঁরই অনুবাদক
লন্ডন, ৮ ফেব্রুয়ারি : ১৯৪৫ সালে তাইপেইয়ে বিমান দুর্ঘটনার পর মিলিটারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর। বক্তা নেতাজির জাপানি অনুবাদক সঙ্গী। ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। [নেতাজি সংক্রান্ত ১০০টি গোপন নথি প্রকাশ করলেন মোদী, কেন্দ্রকে তোপ দাগল কংগ্রেস]
নেতাজির মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা জল্পনা দেখা দিয়েছে, কখনও উঠে এসেছে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর তত্ত্ব। কখনও সামনে এসেছে তার স্বাভাবিক মৃত্যুর জল্পনা। এদিকে নেতাজির মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা গুজব জল্পনা দূর করতে জনস্বার্থে প্রথমে রাজ্য সরকার পরে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অধীনে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ করে।
এই সমস্ত নথিতে নির্দিষ্ট করে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকলেও বিভিন্ন ফাইলে বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যুর আভাস দেওয়া হয়েছে। [নেতাজিকে 'যুদ্ধপরাধী' বলে সম্বোধন করেন জওহরলাল নেহরু!]
তবে নেতাজির জাপানি অনুবাদক কাজুনোরি কুনিজুকার দাবি ১৯৪৫ সালে তাইপেইতেই নেতাজির মৃত্যুর জল্পনাকে আরও দৃঢ় করছে। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কুনিজুকা নেতাজির অনুবাদক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি এখনও জীবিত। [নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য : সব জানতেন নেহেরু, গান্ধী, প্যাটেল?]
নেতাজির শেষ দিনে নিজের ডায়রিতে গ্রাফিকাল বিস্তারিত বয়ান রেকর্ডও করেছিলেন কুনিজুকা। website bosefiles.info ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুনিজুকার দাবি ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনার ফলস্বরূপই মৃত্যু হয়েছে নেতাজির।