বিমান দুর্ঘটনায় ১৯৪৫-এ মারা যাননি নেতাজি, ফের কারা বলছেন একথা জেনে নিন
১৯৪৫-এর বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। এমনই তথ্য ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিসের রিপোর্টে। এবিষয়ে সরকারি পর্যায়ে কোনও মত পাওয়া যায়নি
সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন, অর্থাৎ ১৯৪৫-এর বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন, প্যারিসের ঐতিহাসিক জেবিপি মোরে। ফ্রান্সের সিক্রেট সার্ভিসের তৎকালীন রিপোর্টে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে।[আরও পড়ুন:প্রয়াত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেহরক্ষী: এই আজাদ হিন্দ সৈন্যর বিষয়ে যে বিষয়গুলি জানা প্রয়োজন]
১৯৪৭ সালের ১১ ডিসেম্বর সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কিত সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল ফ্রান্সের সিক্রেট সার্ভিস । ফ্রান্সের ন্যাশনাল আর্কাইভে সেই রিপোর্ট জমা ছিল। সুভাষচন্দ্র বসু মৃত্যুর খবর না দিলেও, সেই সময় তিনি কোথায় ছিলেন, সে সম্পর্কে কোন তথ্য সেই রিপোর্ট থেকে পাওয়া যায়নি।[আরও পড়ুন:বিমান দুর্ঘটনার পর নেতাজির বেঁচে থাকার নতুন প্রমাণ সামনে এল!]
রিপোর্টে সুভাষচন্দ্র বসুকে ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স লিগের প্রাক্তন প্রধান এবং জাপানের সংগঠন হিকারি কিকানের সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে পালিয়ে যান বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটেন এবং জাপানের তরফে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু খবর জানানো হলেও, বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্স নীরবই থেকেছে। চল্লিশের দশকে ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়া ফেঞ্চ কলোনি হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৪৫-এর ১৫ অগাস্ট জাপানের আত্মসমর্পণের পর সাইগনের দখল নেয়, ফ্রান্স ও ব্রিটিশ বাহিনী। কিন্তু কোনও ভাবেই তারা বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর খবরকে সমর্থন করেনি। এমনটাই জানিয়েছেন ফ্রান্সের ঐতিহাসিক জেবিপি মোরে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কী ভাবে মারা গিয়েছেন, তা জানতে ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত তিন-তিনটি কমিশন গঠন করেছে। ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিশন, ১৯৭০-এ খোসলা কমিশন জানিয়েছিল ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট তাইহুকুতে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন সুভাষচন্দ্র বসু। অন্যদিকে, ১৯৯৯ সালে গঠিত মুখার্জি কমিশন জানিয়েছিল, নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। যদিও মুখার্জি কমিশনের পর্যবেক্ষণ গ্রহণ করেনি সরকার। তা সত্ত্বেও, সত্যের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন অনুসন্ধান কারীরা।