টেলিভিশন ছাড়বেন না জানিয়ে দিলেন নভজ্যোত সিং সিধু, শুরু বিতর্ক
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সিধু সাফ জানিয়ে দেন মন্ত্রী হলেও টেলিভিশন কেরিয়ার তিনি ছাড়বেন না। আর সিধুর এই বক্তব্য ঘিরেই বিতর্ক।
চণ্ডীগড়, ১৮ মার্চ : পাঞ্জাবের নবনির্বাচিত বিধায়ক নভজ্যোত সিং সিধু মন্ত্রী হিসাবে ইতিমধ্যে শপথও নিয়েছেন। কিন্তু শপথ নেওয়ার এক দিনের মাথায় তাঁর মন্তব্যই উস্কে দিল বিতর্ক। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সিধু সাফ জানিয়ে দেন মন্ত্রী হলেও টেলিভিশন কেরিয়ার তিনি ছাড়বেন না। আর সিধুর এই বক্তব্য ঘিরেই বিতর্ক।
পাঞ্জাবের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে লড়াই করবেন নাকি নিজের টেলিভিশন কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই প্রশ্ন করা হলে সিধু বলেন, "আমার টেলিভিশন কেরিয়ার সমেত যখন মানুষ আমায় ছয়বার ভোট দিয়ে বেছে নিয়েছেন, তাহলে আপনাদের অসুবিধাটা কোথায় হচ্ছে?"
উল্লেখ্য সিধুই প্রথম মন্ত্রী হবেন যিনি টেলিভিশন তারকা এবং নিজের টেলিভিশনের কেরিয়ার মন্ত্রীত্বের সঙ্গেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
সিধুর এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। শিরোমণি অকালি দলের মুখপাত্রর কথায়, "আমি আগেই একথা বলেছিলাম। যখন তিনি অমৃতসরের সাংসদও ছিলেন তিনি নিজের কেন্দ্রের দিকে কোনও নজর দেননি। আর সেই কারণেই বিজেপির সঙ্গে পরামর্শ করে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা তাঁকে নির্বাচনের টিকিট দিইনি।" উল্লেখ্য সিধু ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন।
সিধু জানিয়েছেন, তাঁর টেলিভিশনের কাদ ক্যাবিনেটের দায়িত্বে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করবে না। সপ্তাহে একদিনের জন্য তিনি যাবেন। বিকেল ৩টেয় গিয়ে পরের দিন সকাল ৭ টায় ফিরেও আসবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
সিধুর বক্তব্য, বিজেপি ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে, ২০০৯ সালে হরিয়ানা ও রাজস্থানে যখন আমাকে তারকা প্রচারক হিসাবে ব্যবহার করল তখন তো তারা আমার টেলিভিশনে কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন করেনি। তিন রাজ্যেই বিজেপি জিতেছিল। এমনকী অধিকাংশ অনুষ্ঠানে আমার পরিচিত টেলিভিশন সংলাপ "ঠোকো তালি"বলার জন্যও অনুরোধ করা হত।
আপ বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এইচএস ফুলকা বলেন, "২৪ ঘন্টা অক্লান্ত খেটে যাওয়াও যথেষ্ট না সেই জঞ্জাল পরিস্কার করার জন্য যা অকালি-বিজেপি জোট সরকার তৈরি করে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস সিধু একবার কাজ করতে শুরু করলে তা ভাল করেই বুঝবেন।"