স্ত্রীয়ের আত্মহত্যায় জেল হল জাতীয় কাবাডি খেলোয়াড় রোহিত চিল্লারের!
পণের জন্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন জাতীয় স্তরের কাবাডি খেলোয়াড় রোহিত চিল্লারের স্ত্রী ললিতা। সেই অভিযোগেই এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল চিল্লারকে।
নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর : পণের জন্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন জাতীয় স্তরের কাবাডি খেলোয়াড় রোহিত চিল্লারের স্ত্রী ললিতা। সেই অভিযোগেই এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল চিল্লারকে।
২১ অক্টোবর মুম্বইয়েক কোলবা থেকে চিল্লারকে গ্রেফতার করা হয়। নৌসেনাতে কাজের সূত্রে কোলবায় পোস্টিং ছিল তার। ললিতার আত্মহত্যার তিন দিন পর তাকে গ্রেফতার করে ২৩ অক্টোবর দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়।[জাতীয় কাবাডি খেলোয়াড়ের স্ত্রী আত্মঘাতী, রেখে গেলেন ২ ঘন্টার অভিযোগে ঠাসা ভিডিও ফুটেজ]
দু'দিনের পুলিশ রিমান্ডের পর মঙ্গলবার চিল্লারকে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ২১ অক্টোবর চিল্লারের বাবা বিজয় সিংকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
ললিতার মৃত্যুর পরই চিল্লারের পরিবারের জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছিল, এবং বলা হয়েছিল ২০ অক্টোবর পুলিশের তদন্তে সাহায্য করার জন্য হাজিরা দিতে। কিন্তু তার পরই বাড়িতে তালা-চাবি লাগিয়ে গা ঢাকা দেয় তারা।
প্রসঙ্গত গত ১৭ অক্টোবর দিল্লিতে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ললিতা। দিল্লিতে শ্বশুরবাড়ি থাকা সত্ত্বেও শহরে অন্য বাড়িতে একা থাকতেন ললিতা।
এই বছরই মার্চ মাসে চিল্লারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল ললিতার। তাঁর মৃত্যুর জন্য স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িতে দায়ী করে গিয়েছেন ললিতা। ২ ঘন্টার একটি ভিডিও বার্তায় নিজের সমস্ত অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন তিনি।
ললিতার বাবা করণ সিং চিল্লারের পরিবারের বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন চিল্লার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।