'৪ হাজার বছর' পর মাটি ফুঁড়ে জেগে উঠল পবিত্র সরস্বতী নদী!
চণ্ডীগড়, ১৪ মে : কী বলবেন একে? প্রকৃতির খেয়াল নাকি ঈশ্বরের কৃপা! হিন্দু পুরাণে যে সরস্বতী নদীর কথা বহুবার উল্লিখিত রয়েছে, সেই পবিত্র নদীই চার হাজার বছর পর মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে।
হরিয়ানা সরকার সূত্রে এমন বিস্ময়কর ঘটনাই জানা গিয়েছে। হরিয়ানাতে রয়েছে এখন বিজেপির সরকার। রাজ্য বাজেটে এবছর সরস্বতী নদীকে পুনরুদ্ধার করতে ৫০ কোটি টাকা নাকি বরাদ্দ করা হয়। সেই অনুযায়ী খননকার্যও চালছিল বেশ জোরকদমে। এরপর কয়েকদিন আগে হরিয়ানার যমুনানগর জেলার মুগলওয়ালি গ্রামে সেই পবিত্র নদীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
পুরাণে গঙ্গা নদীর মতোই পবিত্র মনে করা হয় সরস্বতী নদীকে। ঋকবেদে এই নদীর বিস্তারিত বর্ণনাও দেওয়া রয়েছে। বলা হয়, আজ থেকে ৪ হাজার বছর আগে হরিয়ানার যমুনা নগরের উপর দিয়ে বইত সরস্বতী নদী। সেই সময় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তঃসলীলা হয়ে পড়ে নদীটি।
তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি নদীটির। মাটির নিচ দিয়েই এতদিন বয়ে গিয়েছে সরস্বতী। এহেন সরস্বতী নদী সকলকে অবাক করে হঠাৎ জেগে উঠেছে। তাও আবার ৪ হাজার বছর পরে।
হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নীচে বয়ে চলা সরস্বতী নদীর আকস্মিক উত্থানে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে যমুনানগরে।
এর আগেও সরস্বতী নদীকে খোঁজার নানা চেষ্টা হয়েছে তবে নদীটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত ২১ এপ্রিল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উপগ্রহভিত্তিক মানচিত্র দেখে নতুন করে খোঁজ শুরু হতেই এবার সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।
বৈদিক যুগে এই নদীটি অন্যতম প্রধান নদী হিসাবে গণ্য হতো। এর গতিপথে উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের নানা জায়গা পড়ত। মহাভারতেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়।
হরিয়ানা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সরস্বতী নদীকে কেন্দ্র করেই নতুন করে পর্যটন শিল্পে জোয়ার আসবে হরিয়ানায়।