দশম-দ্বাদশ শ্রেণি পাশের শংসাপত্র নেই, তবুও MIT-তে সুযোগ পেল ভারতের মালবিকা
মুম্বই, ৩০ অগাস্ট : ১৭ বছরের মালবিকা রাজ জোশীর দশম অথবা দ্বাদশ শ্রেণি পাশের শংসাপত্র নেই। তা সত্ত্বেও ঐতিহ্যশালী MIT (ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি)-তে পড়ার সুযোগ পেল সে। কারণ একটাই, কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে অসাধারণ কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। [একাকীত্ব ধূমপান করার চেয়েও বিপজ্জনক, ডেকে আনে হৃদরোগের বিপদ, জানাল গবেষণা]
মুম্বইয়ের এই কিশোরীকে ইতিমধ্যেই স্কলারশিপ দিয়ে দিয়েছে এমআইটি। এই মুহূর্তে মালবিকা বিজ্ঞানে স্নাতকের পড়াশোনা করছে। মালবিকা 'ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অব ইনফরমেটিক্স' যাকে সাধারণভাবে 'প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড' বলা হয়, তাতে দু'বার রুপো ও ১ বার ব্রোঞ্জ জিতেছে। আর সেজন্যই তড়িঘড়ি তাঁকে স্কলারশিপ দিতে একবারও ভাবেনি এমআইটি কর্তৃপক্ষ। [ঘুমের মধ্যে বাধাহীন অবস্থায় উড়তে পারে পাখিরা, জানাল গবেষণা]
এর কারণ হল, যে সব যুবক-যুবতী বা কিশোীর-কিশোরীরা অলিম্পিয়াডের অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা ও কম্পিউটারের মতো বিষয়ে মেডেল জেতে তাদের সরাসরি এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়। মোট তিনবার অলিম্পিয়াডে মেডেল জেতায় নিজের পছন্দের বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে তাই গবেষণার সুযোগ পেয়েছে মালবিকা। [ক্যানসার আটকাতে নতুন প্রোটিনের উদ্ভাবন করলেন বিজ্ঞানীরা]
ভারতের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আইআইটিতে মালবিকা সুযোগ পায়নি। কারণ দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ না হলে এখানে ভর্তি হওয়া যায় না। একমাত্র চেন্নাই ম্যাথমেটিক্যাল ইনস্টিটিউটে মালবিকা এমএসসি পর্যায়ে সুযোগ পেয়েছিল। তবে এখন একেবারে সরাসরি এমআইটিতে সুযোগ পেয়েছে সে। [আপনার শিশুও বিছানা ভেজাবে যদি ছোটবেলায় এই অভ্যাস আপনার থাকে!]
মালবিকার এই পথ চলা একেবারে সহজ ছিল না। মালবিকাকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন তাঁর মা সুপ্রিয়া। কারণ তিনি বুঝেছিলেন, প্রথাগত শিক্ষার পথ তার মেয়ের জন্য নয়। সে অন্য পথের পথিক। এজন্য বাড়িতেই মালবিকার তালিম শুরু হয়। আর এখন তাঁর ফল পাচ্ছে মালবিকা।