ধোনি অধিনায়কত্ব ছাড়েননি, ওঁকে ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল!
ভারতীয় ক্রিকেটের সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব নিজের ইচ্ছায় ছাড়েননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। বরং কলকাঠি নেড়েছে বোর্ড। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল।
নয়াদিল্লি, ৯ জানুয়ারি : ভারতীয় ক্রিকেটের সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব নিজের ইচ্ছায় ছাড়েননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। বরং কলকাঠি নেড়েছে বোর্ড। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল।
বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটাপি আদিত্য বর্মা অভিযোগ করেছেন, বিসিসিআই-এর যুগ্ম সভাপতি অমিতাভ চৌধুরির চাপেই একদিন ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধোনি। 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর সিদ্ধান্ত স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না।
হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অুযায়ী, অমিতাভ চৌধুরি ৪ জানুয়ারি বিসিসিআই-এর প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে ফোন করেন। চৌধুরি, প্রসাদকে ধোনির কাছ থেকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে বলেন। একইদিনে নাগপুরে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে গুজরাতের কাছে হারে ঝাড়খণ্ড।
আদিত্য বর্মার কথায়, "ধোনি মেন্টর হওয়া সত্ত্বেও গুজরাতের কাছে ঝাড়খণ্ডের হার নিয়ে অখুশি ছিলেন চৌধুরি। এরপরই প্রসাদকে ফোন করে নির্দেশ দেন ধোনির কাছে লিখিতভাবে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়ার জন্য। গোটা ঘটনায় ব্যথিত ধোনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানা।"
আদিত্য বর্মার অভিযোগ, "ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশন-এর প্রাক্তন সভাপতি অমিতাভ চৌধুরি এবং ধোনির মধ্যে একটা শীতল সম্পর্ক ছিল। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও রঞ্জি সেমিফাইনাল ম্যাচে ধোনি খেলতে অস্বীকার করাতেই সমস্যা বাড়ে দুজনের মধ্যে।"
ধোনির আচমকা অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণায় ক্রিকেট মহল এবং ধোনি ভক্তরা হতবাক হয়ে যান। কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত ধোনি নিলেন তা নিয়ে কৌতুহল জন্মায়। বর্মার অভিযোগ সেই কৌতুহল ও জল্পনায় নতুন করে ঘি ঢালল।