#Demonetisation-এর অর্থই বোঝেননি মোদী, অর্থনীতির মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিয়েছেন, কটাক্ষ রাহুলের
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আসলে বাহানা। মোদীজি বুঝতে পেরেছেন যোগব্যায়াম, স্কিল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়াক আড়ালে তিনি লুকোতে পারবেন না। ভারতের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডই ভেঙে দিয়েছেন তিনি, বললেন রাহুল গান্ধী।
নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি : নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের কটাক্ষ, ডিমনিটাইজেশন-এর মানেটাই বুঝতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর মেরুদণ্ডই ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার, নয়াদিল্লিতে জন বেদনা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে, প্রথম থেকেই এনডিএ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে শুরু করেন রাহুল। তিনি বলেন, "যিনি সরকারকে নোট বাতিলের ধারণা দিয়েছিলেন, তিনি পরে বলেছেন, আরে, মোদীজি তো ডিমনিটাইজেশনের আসল মানেটাই বোঝেননি। ডিমনিটাইজেশন মানে উচ্চ অঙ্কের নোটগুলি অর্থনৈতিক পরিকাঠামো থেকে তুলে নেওয়া। উনি তো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট তুলে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে এলেন।"
এরপরই রাহুল বলেন, "নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আসলে বাহানা। মোদীজি বুঝতে পেরেছেন যোগব্যায়াম, স্কিল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়াক আড়ালে তিনি লুকোতে পারবেন না। নোট বাতিলের চোটে ভারতের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডই ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।"
এদিন নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মোদীর যোগাভ্যাস, স্বচ্ছভারত অভিযান, মেক ইন ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল। তিনি বলেন, "প্রথম প্রথম মোদীজি এবং বিজেপি নেতারা ঝাড়ু ধরে মিডিয়ার সামনে ছবি তুলতেন। রাস্তায় ঝাঁড়ুও মারতেন। কিন্তু ওটা একটা ফ্যাশন ছিল। কয়েকদিন বাদেই ভুলে গিয়েছে সবাই।"
মোদীর যোগদিবসকে কটাক্ষ করে রাহুলের মন্তব্য, "আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে উনি প্রচুর যোগাসন করেন কিন্তু পদ্মাসন করেন না। আমিও যোগব্যায়াম করি, আমার যোগগুরু বলেছেন, যিনি যোগাসন করেন তিনি পদ্মাসন জানবেনই। আর যিনি পদ্মাসন জানেন না তিনি যোগাসন করেনই না।"
এর পাশাপাশি রাহুল বলেন, ৭০ বছরে কংগ্রেস তা নষ্ট করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অটোমোবাইল ক্ষেত্রে বিক্রয় কমেছে, বিচারব্যবস্থা, আরবিআই, মিডিয়ার সম্মান করতাম আমরা। মোদীজি ও আরএসএস মিলে গত আড়াই বছরে সব বন্ধ করে দিয়েছেন। সমস্ত সরকারি ও সম্মানীয় প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে বিজেপি সরকার। গণতন্ত্রের আওয়াজ রুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাহুলের কথায়, "নরেন্দ্র মোদী 'আচ্ছে দিন' এসেছে বলে মাতামাতি করেন। কিন্তু মানুষে আজও আমাদের জিজ্ঞাসা করেন কবে আচ্ছে দিন আসবে। উত্তর হল ২০১৯ সালে কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় এলে তবেই আচ্ছে দিন আসবে।"
যদিও এদিন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এই নিয়ে দলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।