কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে: রাজনাথ সিং
শ্রীনগর, ৫ সেপ্টেম্বর : কাশমীর সর্বদল বৈঠক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সাফ জানিয়ে দিলেন "কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল আর ভবিষ্যতেও ভারতের থাকবে"। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল তাতে হুরিয়ত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা সর্বদল বৈঠকে যোগ না দিলেও বৈঠক সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন না রাজনাথ সিং। তাঁর মতে কাশ্মীরের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, গণসংগঠন তার সঙ্গে বহু বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এবং প্রত্যেকেই চাইছেন কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসুক। কাশ্মীরকে অাশান্ত করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যেই এই কড়া বার্তা শুনিয়েছেন রাজনাথ সিং, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি আগেই বলেন, "সর্বদল বৈঠক সফল না হওয়ার জন্যও দায়ী পাকিস্তান"। রবিবার সরকারের প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ব্যর্থ হয়ে যায়।
সিপিআইএমের পক্ষ থেকে সিতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির সঙ্গে তাঁরই বাড়িতে সাক্ষাতের জন্য যান কিন্তু সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় ইয়েচুরি , ডি রাজাদের। গিলানির বাড়ির বন্ধ দরজার সামন ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁদের। সিতারাম ইয়েচুরি মন্তব্য করেন, "আমরা এসেছিলাম গিলানির সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু উনি দরজা খোলেননি। আলোচনাই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ সেটা হুরিয়ত নেতাদের বোঝা উচিত"।
তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মিরওয়াইজের সঙ্গে দেখা করে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন ইয়েচুরির এবং প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা। রবিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈধকে হুরিয়ত নেতারা উপস্থিত থাকবেন না বলে মনে করা হয়েছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল শেষ পর্যন্ত। উল্লেখ্য কাশ্মীরে শে সব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে তার পিছনে পাকিস্তানের টাকা এবং স্থানীয় হুরিয়ত নেতাদের মদত রয়েছে বলে একাধিক প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু ভারত সরকার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষমতীসীন সরকার চাইছেন আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে।রাজনাথ সিং অবশ্য আশা প্রকাশ করে বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করবে।