দেশের এই রাজ্যে অপহরণ করে বিয়ে করানো হয়েছে ৩ হাজার পাত্রকে
মোট ৩০৭৫ জন হবু বরকে প্রথমে অপহরণ করে তারপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বিহারে।
বিহারে পাত্রকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ে করিয়ে নেওয়ার চালু রেওয়াজ চলছে বেশ কয়েকবছর ধরেই। ২০১৬ সালে তা একেবারে মাত্রা ছাড়িয়েছে। মোট ৩০৭৫ জন হবু বরকে এভাবে প্রথমে অপহরণ করে তারপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসার পরে গোটা দেশে সাড়া পড়ে গিয়েছে। গো-বলয়ে এমন ঘটনা আকছার ঘটে। তবে বিহার যে সবাইকে ছাপিয়ে এতটা এগিয়ে গিয়েছে তা আন্দাজ করা যায়নি। ২০১৫ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৩০০১ জন ও ২০১৪ সালে তা ছিল ২৫৩৩ জন। গতবছরে তা আরও কিছুটা বেড়েছে।
এবং এই বছরে মার্চ পর্যন্ত মোট ৮৩০টি অপহরণের পর জোর করে বিয়ে করানোর অভিযোগ পুলিশে দায়ের হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে বছরের শেষে ফের নয়া রেকর্ড গড়বে নীতীশ কুমারের বিহার।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিহারের মতো রাজ্যে পণপ্রথা সমানে চলছে। নিষিদ্ধ হলেও এর রমরমা এতটুকু কমেনি। পাত্রপক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা ও পণ্য দাবি করেন। এত বেশি সেই দাবি-দাওয়া যে সকলের পক্ষে তা পূরণ করা সম্ভব হয় না। অগত্যা ছেলেকে তুলে নিয়ে এসে জোর করে বিয়ে দেওয়ানো হয়।
ঘটনা হল, বিহারে এই সংক্রান্ত নিয়ম অধিকাংশই মানেন না। আইন হাতে নেওয়াই যেন এখানে নিয়ম। প্রথমে জোর করে পাত্রকে তুলে আনা হয়। তারপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ে দেওয়ানো হয়। তারপরে যত টাকা যৌতুক দাবি করা হয়েছে, তার এক চতুর্থাংশ দিয়ে কাজ সেরে ফেলেন মেয়ের বাবা।
ব্যস, তাতে দুকুলই রক্ষা হয়। মেয়েরও বিয়ে হল, আর বেয়াই বাড়িতে মুখও রক্ষা হল। আর পাত্রপক্ষ জানে পণ নেওয়া বেআইনি, তাই প্রথমে রাগ দেখালেও পরে সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়। আর এভাবেই বছরের পর বছর ধরে বিহারে এই ব্যবস্থা চলে আসছে।