ফি বছর ১৪০ কোটি টাকা তোলা আদায় মাওবাদীদের: কেন্দ্র
বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় মাওবাদীরা। এই সব এলাকায় শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করে জঙ্গিরা। এর বিনিময়ে তাঁদের দেওয়া হয় নিরাপত্তার আশ্বাস। আর মাওবাদীদের তোলা না দিয়ে কেউ পুলিশে অভিযোগ জানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভবলীলা সাঙ্গ হতে বেশি সময় লাগে না। সংসদে মন্ত্রী বলেছেন, "আসলে ওরা কত টাকা এভাবে তোলে তার হিসাব সরকারের কাছে ছিল না। সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতে উঠে এসেছে এই তথ্য।"
বিড়ি শিল্পে ব্যবহৃত হয় কেন্দু পাতা। যে ব্যবসায়ীরা কেন্দু পাতা সংগ্রহের কাজে যুক্ত, তাদের থেকে এজেন্ট পাঠিয়ে টাকা আদায় করে মাওবাদীরা। খনি বা জঙ্গল মাফিয়ারাও ভয়ে তোলা দেয় মাওবাদীদের। টাকা দিতে না পারলে কখনও খাবার-দাবার, ওষুধ ইত্যাদি কিনে পাঠাতে হয় মাওবাদীদের। এই তোলা আদায়ের খবর যাতে পুলিশের কানে না যায়, সে জন্য গ্রামের লোককে চর হিসাবে কাজে লাগায় তারা। তারাই খবরাখবর দেয় মাওবাদীদের। আর এই তোলার টাকাতেই সমান্তরাল প্রশাসন চালায় মাওবাদীরা।