অমরনাথ হামলায় প্রকাশ্যে আরও গাফিলতি, কীভাবে এড়ানো যেত হামলা
অমরনাথ যাত্রীদের ওপর হামলার মূল চক্রী আবু ইসমাইলের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি, নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন করেছিল বাসটিও, টায়ার পাংচার না হলে এড়ানো যেত এই হামলা।
অমরনাথ যাত্রীদের ওপর হামলার মূল চক্রী লস্কর জঙ্গি মহম্মদ আবু ইসমাইলের খোঁজে গোটা উপত্যকাজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আবু ইসমাইল একা নয়, তার সঙ্গে আরও চার থেকে পাঁচজন জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। বছর দুয়েক আগে আবু ইসমাইল অনুপ্রবেশ করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তবে যে বাসটিতে হামলা হয়েছে, সেই বাসও নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গিয়েছে। বাসের একটি চাকা পাংচার হয়ে দেরি না হলে হয়ত এই ঘটনা এড়ানো যেত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার রাতে জঙ্গি হামলায় সাতজন অমরনাথ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। একটি সেনা ক্যাম্প থেকে মাত্র ২০০ মিটার দুরেই এই হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে ১০০টিরও বেশি খালি কার্তুজের খোল পাওয়া গিয়েছে, যার থেকে স্পষ্ট জঙ্গিরা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়েই এসেছিল। দুটি বাইকে করে অনেক দূর পর্যন্ত বাসটির পিছু নিয়েছিল জঙ্গিরা। এই হামলার মাস্টারমাইন্ড আবু ইসমাইল কীভাবে এই হামলার ছক কষেছিল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। এই হামলার পেছনে আবু দুজানা নামে আরও এক লস্কর জঙ্গির হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবু দুজানা কাশ্মীর উপত্যকায় লস্কর-এ-তৈবার অন্যতম শীর্ষ নেতা। এদিকে সোমবারের হামলার পর থেকেই কাশ্মীরজুড়ে আবু ইসমাইলের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে।
এড়ানো
যেত
এই
হামলা
আধিকারিকরা
জানাচ্ছেন,
বাসের
চাকা
পাংচার
না
হলে
হয়ত
এই
ঘটনা
এড়ানো
যেতে
পারত।
শ্রীনগর
থেকে
৬০জন
পূণ্যার্থীকে
নিয়ে
বিকেল
৫টায়
ছাড়ে
ওই
বাসটি।
সন্ধে
৭টার
আগেই
১০০
কিমি
সফর
করার
কথা
ছিল
বাসটির।
কিন্তু
বাসের
একটি
চাকা
ফেটে
যাওয়ায়
মাঝ
পথে
বেশ
কিছুক্ষণ
দাঁড়িয়ে
থাকতে
হয়
বাসটিকে।
ফলে
মাঝপথেই
৭টা
বেজে
যায়।
নিয়ম
অনুযায়ী
জাতীয়
সড়ক
দিয়ে
বিকেল
৪টা
থেকে
সন্ধে
৭টা
পর্যন্তই
অমরনাথের
গাড়িগুলি
যাওয়ার
কথা,
কারণ
ওই
তিন
ঘন্টাই
জাতীয়
সড়কে
অমরনাথ
যাত্রীদের
নিরাপত্তা
দেওয়ার
কথা
নিরাপত্তারক্ষীদের।
নিরাপত্তাবিধি
লঙ্ঘন
করেছিল
বাসটিও
তদন্তকারীদের
দাবি,
গুজরাটের
এই
বাসটি
অমরনাথ
শ্রাইন
বোর্ডের
নথিভুক্ত
নয়।
সেইসঙ্গে
সেনাবাহিনীর
কাছেও
বাস
ও
অমরনাথ
যাত্রীদের
বিস্তারিত
বিবরণ
জমা
দেওয়া
হয়নি।
সেইসঙ্গে
বাসটি
নির্ধারিত
রুটও
মানেনি
বলে
তদন্তে
উঠে
এসেছে।
তবে
কারণ
যাই
হোক,
এই
হামলাকে
নিরাপত্তায়
গাফিলতি
বলেই
মন্তব্য
করেছেন
জম্মু-কাশ্মীরের
উপমুখ্যমন্ত্রী
নির্মল
সিং।