নিজের কিশোরী মেয়েকে খুন করে প্রেমিকের দরজা ফেলে দিয়ে গেল বাবা
নিজের কিশোরী মেয়েকে গলা কেটে খুন করে দিনের আলোয় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে গেল বাবা। পরে আত্মসমর্পণও করল পুলিশে। ঘটনাটি ঘটেছে মুজফফরনগর জেলার চার্থাওয়াল গ্রামে।
মেরঠ, ২৩ মার্চ : নিজের কিশোরী মেয়েকে গলা কেটে খুন করে দিনের আলোয় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে গেল বাবা। ছেলেটির সঙ্গে নিজের মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি ওই ব্যক্তি। এই সম্পর্কে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। তবে মেয়ে বাবার কথা শোনেনি।
এই অবস্থা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে মেয়েকে গলা কেটে খুন করে প্রেমিক ছেলেটির বাড়ির দরজা ফেলে দিয়ে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেন। প্রতিবেশীদের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুজফফরনগর জেলার চার্থাওয়াল গ্রামে। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী জব্বর কুরেশি পেশায় হকার। ঘুরে ঘুরে জামাকাপড় বিক্রি করেন। বুধবার সকালে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী একটি ঘরে মেয়ে গুলসাবার গলার আওয়াজ পান। বুঝতে পারেন সেই ঘরে তার মেয়ে ছাড়াও একটি পুরুষ রয়েছে।
সেই শুনেই বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেন মা। ফোন করে স্বামী জব্বরকে গোটা বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যান। জানা যায় প্রতিবেশী পরিবারের কিশোর দিলনওয়াজ আহমেদ রয়েছে সেই ঘরে। একইসঙ্গে পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ছেলেটিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ পরই বাড়ি ফেরেন জব্বর। মেয়ের কীর্তি শুনে রাগের বশে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেয়ের গলা কেটে দেন। তারপরে সেই দেহ নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী দিলনওয়াজদের বাড়ির দরজা ফেলে দিয়ে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।