রাজনাথ সিংহের বাংলা সফর নিয়ে প্রশ্ন মমতার, কড়া জবাব দিল বিজেপি
কলকাতা, ১ এপ্রিল : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পশ্চিমবঙ্গসফর ভাল চোখে দেখছে না রাজ্য সরকার। রাজনাথ সিংয়ের এই সফর 'সরকারি' নাকি 'রাজনৈতিক' সে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার টুইারে এই প্রসঙ্গে একের পর এক টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য সফরের আগে কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি তা নিয়েও কেন্দ্রকে দুষেছেন মমতা।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব অভিযোগ নস্যাৎ করে করে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিতে রাজনীতির রং চড়াতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনাথ সিং কোচবিহারের ছিট মহল এলাকায় বিজেপি সাংসদদের নিয়ে গিয়েছিলেন। এটা কী সরকারি সফর নাকি রাজনৈতিক সফর?
ফেসবুক টুইটারে পোস্ট করে কেন্দ্রকে একহাত নেন মমতা। বলেন, "আইনশৃঙ্খলা এবং ছিট মহল দুটির এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের থাকা সত্ত্বেও এই সফর নিয়ে আগে থেকে কোনও আলোচনা করা হয়নি আমাদের সঙ্গে। এধরণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারর সঙ্গে আগে আলোচনা করাটা নিয়ম। আমি শুধুমাত্র ওনার সফর সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্স পেয়েছি। আমার মনে হয় ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় আমাদের একে অপরের এক্তিয়ারকে সম্মান দেওয়া উচিত।"
যদিও মমতার দাবি উড়িয়ে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিস থেকে রাজ্য সরকারকে গত ২৫ মার্চ এই সফরের বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা করে চললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতেও ছাড়ছেন না।
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সিদ্ধার্থনাথ বলেন, রাজনাথ সিংয়ের সফর নিয়ে তিনি অজ্ঞাত ছিলেন এটা বলার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কী ধরণের সরকার চালাচ্ছেন মমতাজি। কারণ ২৫ মার্চ এবিষয়ে বাংলার রাজ্যপালের সচিব, মুখ্যমন্ত্রীর সচিত এবং এবিষয়ে প্রযোজনীয় অন্যান্য আধিকারিকদের এবিষয়ে জানানো হয়েছে। আসলে তিনি এতে রাজনীতির রং চড়াতে চাইছেন কারণ তিনি বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এই বিদেশী ভোটের জেরেই মমতা জিতে এসেছেন।
মঙ্গলবার বাংলায় ২ দিনের সফরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। মঙ্গলবারই তিনি কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে সমীক্ষা চালান তিনি, এবং কোচবিহারের সীমান্তও পরিদর্শন করেন। শুধু তাই নয়, বিএসএফ এবং বিজিবি আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।