গ্রেফতার হয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানাল ৬টি খুনের আসামি 'ডক্টর ডেথ'!
মুম্বই, ১৯ অগাস্ট : ৬টি খুনের আসামিকে গ্রেফতার করার পরে এভাবে প্রশংসা জুটতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেনি মহারাষ্ট্রের পুলিশ কর্তারা। তাও কিনা যে ৬টি খুনের আসামি, সেই সন্তোষ গুলাবরাও পলের কাছ থেকেই জুটেছে প্রশংসা। [গীর্জায় চোখ খুললেন 'যীশু খ্রিস্ট', কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভূত বিশারদরা!]
আজ্ঞে হ্যাঁ। গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্র তথা সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে 'ডক্টর ডেথ' এর কাহিনি। পয়সা ও গয়নার লোভে ৬ জনকে খুন করেছে এই ব্যক্তি। আরও একজনকে খুনের মতলবে ছিল। তবে আগে থেকে পুলিশ সব জানতে পেরে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এরপরই বেরিয়ে আসে একেরপর এক সব হাড় হিম করা তথ্য। [স্ত্রীকে ছেড়ে 'প্রেমে পাগল' শাশুড়িকে বিয়ে করল এক যুবক]
জেরায় পল জানায়, ৬ জনকে সে খুন করেছে। তার ডাক্তারির ডিগ্রিটাও আসলে ভুয়ো। সে এক চিকিৎসকের ক্লিনিকে অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর কাজ করত। পরে নিজেই ডাক্তার সেজে বসে এতগুলি অপরাধ করেছে। সে আরও জানায়, তার পরবর্তী টার্গেট ছিল নিজের প্রেমিকা জ্যোতি মান্দ্রে। কারণ জ্যোতি ডক্টর পলের কীর্তি জানত এবং দুষ্কর্মে তার ভাগীদার ছিল। পরে সে সব ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখানোয় জ্যোতিকেও খুন করতে চলেছিল ডক্টর পল। [সংসদের লাইব্রেরিতে আধ ঘণ্টা কাটিয়ে গেল 'মেধাবী' বাঁদর!]
এহেন ভুয়ো চিকিৎসক তাকে গ্রেফতারের জন্য ও এত বছরের পুরনো মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পুলিশ সুপার সন্দীপ পাতিলকে চিঠি লিখে সন্তোষ পল স্যালুট জানিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ কর্তৃপক্ষ। [টিউমার ভেবে অপারেশন, বৃদ্ধার যোনি থেকে বেরল 'প্লাস্টিকের বল'!]
প্রসঙ্গত, গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে খুনের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল সন্তোষ পল। মহারাষ্ট্রের মহাবলেশ্বর-পঞ্চগনি এলাকার একটি শহরে সে থাকত। ২০০১ সালে বিলাস বিষ্ণু ধাগে (৪৫), ২০০২ সালে দীপালি কৃষ্ণা সানাস (২১), ২০১২ সালে মহাদেও সোনু চিকানে (৪৭) সহ মোট ৬ জনকে সে খুন করে। যার মধ্যে ৫ মহিলা ও একজন পুরুষ ছিল। নিহতরা সকলেই নিখোঁজ ছিল। তাদের কোনও খোঁজ এতদিন ছিল না। এতদিন পরে সন্তোষ পলের খামারবাড়ির মাটি খুড়ে এদের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে।