'স্বেচ্ছ্বামৃত্যু চাই', সরকারের কাছে আর্জি 'ঋণগ্রস্ত' কৃষকদের
নাগপুর, ১৫ জুলাই : নাগপুরে সাতজন ঋণগ্রস্ত কৃষক সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানালেন স্বেচ্ছামৃত্যুর। একে ঋণের বোঝা ঘাড়ে, তার উপরে ফসল হয়নি বললেই চলে। ফলে এই পরিস্থিতিতে তাঁরা আর বেঁচে থাকতে চান না। এদের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার সভাপতি কিশোর তিওয়ারি গোটা ঘটনায় জানান, পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে বাধ্য হয়ে এই কৃষকেরা জেলা প্রশাসনের কাছে নিজেদের জীবন শেষ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
এই সাতজন কৃষক পরিবারের সদস্যদের নাম যথাক্রমে কিশোর ইঙ্গালে, ভানুদাস ওয়াদাদকর, পঙ্কজ গাওয়ান্ডে, শঙ্কর খাদসে, কুণ্ডবাঈ লোঙ্কার, কমলা ওয়ারহাদে ও বসন্ত জিনগাওকর। এরা গত সাত মাস ধরে মহারাষ্ট্র সরকারের দফতরে দফতরে ঘুরে শুধু প্রতিশ্রুতিই জোগাড় করতে পেরেছে, আর্থিক সাহায্য নয়।
গতবছর ঝড়-বন্যা-খরা ইত্যাদিতে ফসল নষ্ট হলে মাথাপিছু ৪ হাজার টাকা পাওয়ার কথা কৃষকের। তবে অভিযোগ, গত ছয় মাস ধরে বারবার চেয়েও সেই টাকা পাওয়া যায়নি। তাই এই পথ বেছে নিতে চেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
মহারাষ্ট্রে এবছর খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত ১২ দিনে ২৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। কারণ কৃষকেদের একর পিছু প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা করে ক্ষতি হয়েছে।