উচ্চবর্ণের লোকেরা স্ত্রীকে জল দেয়নি, স্ত্রীর সম্মানে ৪০ দিনে কুয়ো খুড়লেন দলিত ব্যক্তি
মুম্বই, ৯ মে : কী বলবেন একে, নিজের স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা দেখানো, নাকি উচ্চবর্ণের প্রতি নিম্নবর্ণের মানুষের ধিক্কার ফিরিয়ে দেওয়া? যেটাই হোক, এমন ঘটনা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আধুনিক সমাজে এখনও মানুষের মধ্যে কী ধরনের ভেদাভেদ রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলার কালাম্বেশ্বর গ্রামে বাস বাপুরাও তানজের। পেশায় তিনি মজদুরি করেন। খরা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রে এমনিতেই জল নিয়ে মহাসঙ্কট চলছে। সেখানে বাপুরাওয়ের স্ত্রী গ্রামে জলাধার থেকে জল আনতে গেলে অনেকে তাঁকে বাধা দেন। ফলে তিনি জল না নিয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হন।
গ্রামের উচ্চবর্ণ ও স্বচ্ছ্বল পরিবারের লোকেরাই তাঁর স্ত্রীকে জল নিতে দেয়নি শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাপুরাও। স্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় প্রচণ্ড অপমানে লাগে তাঁর। এরপরই কুড়ুল শাবল নিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করে দেন তিনি।
মাত্র ৪০ দিনেই একার চেষ্টায় কুয়ো খুঁড়ে ফেলেছেন তিনি। আর সেই কুয়োর জলই গ্রামের দলিত অধিবাসীদের নিত্যদিনের চাহিদা মেটাচ্ছে।
এই ঘটনার খবর পেয়েই প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হল বাপুরাওয়ের সঙ্গে। কঠোর অধ্যাবসায়ের জন্য তিনি পুরষ্কৃতও হয়েছেন। তবে এমন ঘটনা সভ্য সমাজে কেন ঘটবে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রশাসনের আধিকারিকেরা।