পাবে উন্মাদনার জের: লিক্যুইড নাইট্রোজেন পানীয় গলায় ঢেলে যা ঘটালেন ব্যবসায়ী
পানীয়ের ধোঁয়া বেরোবার আগেই, সুমিত সেটিকে গলায় ঢেলে দেন। গলায় ঢালার পর থেকেই কিছুটা অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করেন তিনি।
গুরগাঁওয়ের ব্যবসাদার সুমিত প্রসাদ বন্ধুদের সঙ্গে পাবে পার্টি করছিলেন। পার্টিন উন্মাদনা যখন চরমে তখনই তিনি ওই পাবের সাম্প্রতিকতম পানীয়টি অর্ডার করেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশিত হয় লিকুইড নাইট্রোজেনের ককটেল। আর হাতের কাছে পানীয় পেয়েই ঢক করে গলায় ঢেলে দেন তিনি।
পানীয়ের ধোঁয়া বেরোবার আগেই, সুমিত সেটিকে গলায় ঢেলে দেন। গলায় ঢালার পর থেকেই কিছুটা অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধিরে ধিরে অচৈতন্য হতে থাকেন তিনি। আরও বেশি বাড়তে থাকে ভেতরের অস্বস্তি।
লক্ষ্য করা হয়, অদ্ভুতভাবে বেড়ে যেতে থাকে তাঁর পেট। রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁর শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়েছে। সিটি স্ক্য়ানে দেখা যায়, তাঁর পেটের ভিতরে একটি ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে, যেখান হাওয়া ঢুকে পেটের আকারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। চিকিৎসকদের ধারণা হয় পেটের ভিতরে অন্ত্র বা পাকস্থলীর আশপাশে কোথাও ছিদ্র হয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে।
এরপর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হয় সুমিতকে। চিকিৎসকরা একটি কঠিন অস্ত্রোপচার করে তাঁকে সারিয়ে তোলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাইট্রোজেন লিকুইড থেকে পেটের ভিতরে ছিদ্র তৈরি হওয়ায় তা দিয়ে নোংরা ফ্লুইড ও খাদ্যের যাতায়াত হচ্ছিল। তাই শারীরিক ক্রিয়া ব্যবহত হচ্ছিল। তাই পাকস্থলীর নিচের অংশ বাদ দিয়ে কৃত্রিমভাবে তা অন্ত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।