বাঘকে সরিয়ে সিংহকে জাতীয় পশুর মর্যাদা কেন্দ্রের!
ঝাড়খণ্ড, ১৮ এপ্রিল : জাতীয় পশুর খেতাবের দৌড়ে বাঘমামাদের সরিয়ে মসনদ দখল করতে পারে সিংহমামারা।
এমন চাঞ্চল্যকর খবরই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার বাঘকে সরিয়ে সিংহকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভার নির্দল সাংসদ তথা শিল্পপতি পরিমল নাথওয়ানি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে এই আর্জি জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেটি পরিবেশ মন্ত্রকের অধীন 'ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ'-এ প্রাথমিকভাবে পাশও হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য গুজরাত থেকে নির্বাচিত।
এরকম হলে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর প্রচার ধাক্কা খাবে
১৯৭২ সাল থেকে জাতীয় পশুর মর্যাদা পেয়ে আসছে ব্যাঘ্রকুল। ফলে এই নিয়েই তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। বন্যপ্রেমী সমাজকর্মীরা বলছেন, এরকম হলে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর যে প্রচার গত কয়েকবছরে শুরু হয়েছে তা বহুলাংশে ধাক্কা খাবে। গত কয়েকবছরে বাঘের সংখ্যা যে সারা দেশে বেড়েছে তাতে ওই প্রচারের গুরুত্ব রয়েছে। এখন এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাতে বাঘের সংখ্য়া তো বাড়বেই না উল্টে অনেক কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে যে সমস্ত অভয়ারণ্যে বাঘ রয়েছে সেইসব জায়গার পাশে শিল্পোৎপাদন শুরু হয়ে যেতে পারে যা বাঘেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবে।
মার্চে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর!
সূত্রের খবর, পরিবেশ মন্ত্রকের সদস্যদের নিয়ে গত মার্চে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকও করেন ওই দপ্তরের মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। সেখানে সদস্যরা এই ব্যাপারে সম্মতিও প্রকাশ করেছেন। যদিও তাঁকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে এই খবরের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে মন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৪ মার্চ পরিবেশ মন্ত্রকের বৈঠকের চতুর্থ অ্যাজেন্ডাই ছিল সিংহকে জাতীয় পশু করা নিয়ে।
এটাই প্রথম নয়, পরিমল নাথওয়ানি এর আগেও ২০১২ সালে একই প্রস্তাব পাঠান। এমনকী গতবছর ডিসেম্বরেও সংসদে সিংহকে জাতীয় পশু করার প্রস্তাব পেশ করেন তিনি।
এই মুহূর্তে সারা দেশের ১৭ টি অভয়ারণ্যে ২২০০ টি বাঘ রয়েছে। অন্যদিকে শুধুমাত্র গুজরাতের গির অরণ্যে ৪১১ টি সিংহ রয়েছে।