বিহারের রাজনীতি নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত, আসরে নামলেন সনিয়া
তেজস্বী যাদবের পদত্য়াগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৭২ ঘন্টা সময় চাইলেন লালু। অপরদিকে মহাজোট রক্ষা করতে এবার আসরে নামলেন সনিয়া গান্ধী, কথা বললেন লালু,নীতীশের সঙ্গে।
তেজস্বী যাদবকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরজেডি আরও ৭২ ঘন্টা সময় চেয়েছে। মূলত জোট বাঁচাতেই এই সময় চাওয়া হয়েছে বলে আরজেডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে মহাজোট বাঁচাতে মধ্যস্থতায় নেমে পড়েছে কংগ্রেসও। ইতিমধ্যেই পৃথকভাবে লালুপ্রসাদ যাদব ও নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
তাঁর
মন্ত্রিসভায়
কোনওরকম
দুর্নীতি
বরদাস্ত
করা
হবে
না।
গত
মঙ্গলবারই
একথা
স্পষ্ট
করে
দিয়েছেন
বিহারের
মুখ্যমন্ত্রী
নীতীশ
কুমার।
প্রকারান্তরে
তিনি
বুঝিয়ে
দিয়েছেন,
যে
উপমুখ্যমন্ত্রীর
পদ
থেকে
তেজস্বী
যাদবের
ইস্তফা
চাইছেন
তিনি।
এমনকী
এবিষয়ে
সিদ্ধান্ত
নিতে
শুক্রবার
পর্যন্ত
আরজেডিকে
সময়ও
দিয়েছিলেন
তিনি।
কিন্তু
এরইমধ্যে
তেজস্বী
নিজে
জানিয়ে
দিয়েছেন,
তিনি
পদত্যাগ
করবেন
না।
এই
পরিস্থিতিতে
জোটের
ভবিষ্যৎ
যে
খুব
একটা
উজ্জ্বল
নয়
তা
ভালই
বুঝতে
পেরেছেন
বিহারের
মহাজোটের
তৃতীয়
সঙ্গী
কংগ্রেস।
শুক্রবার
সকালেই
জেডিইউ
নেতা
কে
সি
ত্যাগী
জানান,
মহাজোট
রক্ষা
করতে
সনিয়া
গান্ধীর
হস্তক্ষেপ
করা
উচিত।
সেইসঙ্গে
আরজেডিকে
কোনও
সময়সীমা
দেওয়ার
কথা
অস্বীকার
করেছেন
তিনি।
অবশ্য
দুর্নীতির
বিষয়টি
এড়িয়ে
গেলে
চলবে
না
বলেও
জানিয়ে
দিয়েছেন
তিনি।
এদিনই দুপুরের দিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী নীতীশ ও লালুর সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেন বলে সূত্রের খবর। আসলে মহাজোট ভেঙে গেলে আখেরে বিজেপিই যে লাভবান হবে তা বিলক্ষণ বুঝেছেন সনিয়া।
অন্যদিকে লালু কোনওমতেই মহাজোট ভাঙতে দেবেন না বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে তিনি তেজস্বীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সামনের সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন নীতীশ কুমার। সেখানে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের ফাঁকে তিনি সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।