রাহুল -অখিলেশ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন, উঠে এল রামমন্দির থেকে মায়াবতী ইস্যু
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেস- সমাজবাদী পার্টির জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আজই প্রথমবার রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বসেন।
লখনউ, ২৯ জানুয়ারি : উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেস- সমাজবাদী পার্টির জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আজই প্রথমবার রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বসেন। ২ রাজনৈতিক দলের দুই তরুন প্রজন্মের নেতা আজ পাশাপাশি বসে সাংবাদিক সম্মেলনে কী কী বললেন দেখে নিন একনজরে।
রামমন্দির প্রসঙ্গ: এই বিতর্কিত প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী বলেন, গোটা বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। তবে প্রতিবার নির্বাচনের আগে বিজেপি এই ইস্যু-কে উস্কে দেয়।
বিজেপি প্রসঙ্গ : রাহুল গান্ধী বলেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ আরএসএস -বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি চায়না।
অখিলেশ প্রসঙ্গে রাহুল : কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি রাহুল বলেন,"অখিলেশ ভালো ছেলে, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি"। কংগ্রেসের স্লোগান "২৭ সাল ইউপি বেহাল" - প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে একথা সাংবাদিকদের বলেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন অখিলেশ যাদবের উদ্দেশ্য ভালো বলেই তাঁকে সমর্থন করতে চেয়েছে কংগ্রেস। রাজনীতির বাইরেও তাঁদের সম্পর্ক যে ভালো তা জানাতে ভোলনেনি কংগ্রেসের এই সাংসদ।
জোট প্রসঙ্গে অখিলেশ: "সাইকেল যখন হাতের সঙ্গে থাকে ,আর হাত যখন থাকে সাইকেলের সঙ্গে তখন তার গতি অপ্রতিরোধ্য হয়"। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মজার ছলে একথা বলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি অখিলেশ বলেন , যাঁরা দেশকে বিভাজন করছেন , এই জোট তাঁদের কাছে একটি 'উত্তর'।
জোট নিয়ে মন্তব্য রাহুলের : রাহুল বলেন এই জোট একটি আন্তরিক মেলবন্ধন। এই জোট তাঁর ও অখিলেশের মধ্যের জোট বলেও জানান রাহুল। পাশপাশি তিনি বলেন, এই জোট দিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে হারাতে হবে। তবে পরবর্তীকালে লোকসভায়ও তাঁরা একসাথে পথ চলবেন কী না তা নিয়েও আলোচনরা রাস্তা খোলা রয়েছে বেল জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। বৈঠকে রাহুল জানান,"আমাদের এই জোট রাজ্যের উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও শান্তির পক্ষের জোট"।
আমেঠি ও রায়বরেলিতে আসন ভাগের প্রসঙ্গ: রাহুল বলেন, সময় আসলে তা জানানো হবে।
মায়াবতী প্রসঙ্গ: মায়াবতী বা বিএসপি -এর থেকে ভয়ের আশঙ্কা নেই দেশের । বিজেপি ও আরএসএস ই হল দেশের আসল ভয়ের কারণ, জানান রাহুল । এদিকে পাশে বসা অখিলেশকে প্রশ্ন করা হয় মায়াবতীকে তাঁদের জোটে সামিল করা নিয়ে । এর উত্তরে অখিলেশ মজা করে বলেন, কী করে সামিল করা যাবে, কারণ মায়াবতীয় নির্বাচনী প্রতীক তো 'হাতি','সাইকেল' নয়!
প্রসঙ্গ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী : রাহুল বলেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী তাঁকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছেন। তিনি কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করুন বা না করুন, তিনি কংগ্রেসের একটি সম্পদ।
সোনিয়া-মুলায়ম প্রসঙ্গ: নির্বাচনী প্রচারে একসঙ্গে মঞ্চে সোনিয়া গান্ধী ও মুলায়ম সিং-কে দেখা যাবে কি না ,সে প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন প্রচারের কৌশল তাঁরা এখনই জানাবেন না।