মহিলারা জিন্স পরে ছেলেদের উত্যক্ত করলে তাদের দড়ির ফাঁস লাগিয়ে অথবা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিৎ
মহিলারা জিন্স এবং ট্রাউজার প্যান্ট পরলে ছেলেরা উত্যক্ত হয়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের নয় গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে কিংবা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিৎ। না কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, এই মন্তব্য, কেরলের এক ধর্মযাজকের।
কোচিন, ২৮ ফেব্রুয়ারি : মহিলারা জিন্স এবং ট্রাউজার প্যান্ট পরলে ছেলেরা উত্যক্ত হয়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের নয় গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে কিংবা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিৎ। না কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, এই মন্তব্য, কেরলের এক ধর্মযাজকের। একটি জনসভায় মহিলাদের পরনের পোষাক কীভাবে পুরুষদের উত্যক্ত করে তার এইভাবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই ধর্মযাজক। [বিমানে ঘুমন্ত মহিলার শরীর হাতড়িয়ে ৬ মাসের হাজতবাস এক ধর্মযাজকের]
১১ মাসের পুরনো এই ভিডিওটি আচমকা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভিডিওয় ওই ধর্মাজককে বলতে শোনা যায়, যে মেয়েরা জিন্স, প্যান্ট বা শার্ট পরেন তাদের নিজের মূল্যবান উপদেশ দেওয়ার যোগ্যই মনে করেন না তিনি। [মহিলাদের জিন্স পরার জন্যই ভূমিকম্প হচ্ছে, দাবি পাকিস্তানি নেতার!]
ছয় মিনিটের এই ভিডিওতে মালায়লম ভাষায় বক্তৃতা দিতে শোনা যায় ওই ধর্মযাজককে। যেই মহিলারা পুরুষদের পোশাক পরেন তাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই 'ফাদার'। তাঁর প্রশ্ন ক্যাথলিক সম্প্রদায় কী করে মেয়েদের এই ধরণের পোশাক পরার অনুমতি দেয়। বাইবেল কি তাদের এভাবে স্বেচ্ছাচারিতার অধিকার দিয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সম্ভবত মহিলাদের স্বাধিকার বা স্বাধীনতার বিষয়ে কখনও শোনেনই এই ধর্মযাজক। তাঁর অভিযোগ, পুরুষরা নিজের আত্মার শুদ্ধিকরণের জন্য ঈশ্বরের দ্বারস্থ হয়। অথচ মহিলারা জিন্স, প্যান্ট এবং অন্যান্য পশ্চিমি পোশাক পরে পুরুষদের উত্যক্ত করার চেষ্টা করে। এমনকী এক ব্যক্তির গল্পও শোনান সবাইকে যেখানে একটি ছেলে দাবি করে, বাড়ি বোনকে টি-শার্ট ও শর্টস পরে দেখলে তার কামনা বাসনা জেগে ওঠে।
আর এই সমস্যারও অভাবনীয় সমাধান বাতলেছেন এই ধর্মযাজক। তাঁর ঘোষণা, মহিলাদের শুধুমাত্র চুড়িদার, সালোয়ার-কামিজ পরা উচিত যা আমাদের সংস্কৃতি। যারা পশ্চিমি পোশাক পরে পুরুষদের উত্যক্ত করার চেষ্টা করে তাদের নয় গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে অথবা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিৎ।