কাশ্মীর হিংসায় কালো টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা
শ্রীনগর, ৩০ অগাস্ট : কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর লক্ষে যে প্রচুর পরিমানে কালো টাকা ছড়ানো হয়েছিল যত দিন যাচ্ছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে কাশ্মীরে হিংসা জারি রাখতে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা বিলি করা হয়েছিল। সেই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এসেছিল এবং কিভাবে তা বিলি করা হয়েছিল তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছিলেন এনআইএ গোয়েন্দারা।
তদন্ত শুরুর প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২৫ টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। সূত্রের খবর এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই পাকিস্তান থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল। হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে হিংসা অশান্তি জারি রাখতেই বিপুল অঙ্কের টাকা ছড়ানো হয়। নতুন করে আরও তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করে দেখছেন গোয়েন্দারা ।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মহম্মদ আশরফের বিরুদ্ধেও হিংসা ছড়াতে টাকা বিলি করার অভিযোগ উঠেছিল। এনআইএ গোয়েন্দারা এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকেও জিঞ্জাসাবাদ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া সৈয়দ আলি শাহ গিলানির পুত্র নঈমকেও জিঞ্জাসাবাদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনআইএ গোয়েন্দাদের মতে, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মধ্যে দিয়ে টাকা পাঠানোর পরে তা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হত যা পরবর্তীতে অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে বিলি করা হয়েছে। টাকার বেশিরভাগ অংশই বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের হাতে দিয়েই বিলি করা হত কারণ তাদের উপরেই দায়িত্ব ছিল উপত্যকায় হিংসা জারি রাখা এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা।