(ছবি) কাশ্মীরের বন্যায় মৃত ১৯, আগামী ৪৮ ঘন্টা সংকটময়, জানাল আবহাওয়া দফতর
শ্রীনগর, ৩১ মার্চ : কাশ্মীর উপত্যকায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। সাত মাসের মাথায় ফের একবার বন্যা পরিস্থিতির কবলে বিপর্যস্ত জনজীবন। কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়ে মহিলা-শিশু সহ ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ঝিলাম নদী, কাশ্মীরে বন্যা ঘোষণা কেন্দ্রের
আবহাওয়া দফতর সূত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টা আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে চলেছে। আগামী ৬ দিন ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকার্য় পুরোদমে চলছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপনস ফোর্স বা এডিআরএফ-এ আটটি দল বন্যায় আটকে পরা এলাকাবাসীদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী, চারটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়।
পুরসভার গাড়ি
জলমগ্ন রাস্তায় পুরসভার গাড়ি এগিয়ে চলেছে জল ঠেলে।
ঝিলম নদী
ফুলে ফেঁপে উঠেছে ঝিলম। শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ঝিলম নদী।
কাঁধে চেপে
শ্রীনগরের হামদানিয়া কলোনিতে জলে অবরুদ্ধ জনজীবন। এলাকার মহিলা ও শিশুদের এভাবেই কোলে নিয়ে কাঁধে চাপিয়ে অন্য নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জলমগ্ন
ঝিলাম নদীর জল ঢুকে পড়েছে হামাদানিয়া কলোনিতে।
প্লাবন
ঝিলমের জলে প্লাবিত শ্রীনগরের গ্রাম। পুলিশ কর্মী ও স্থানীয় লোকজন এক মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন।
ওমর আবদুল্লা
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছেন।
অনন্তনাগ
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকার্য় পুরোদমে চলছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপনস ফোর্স বা এডিআরএফ-এ আটটি দল বন্যায় আটকে পরা এলাকাবাসীদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী, চারটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়।
জল ঢুকছে হুড়মুড়িয়ে
ঝিলমের জল হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে গ্রামের ভিতরে।
লারকিপোড়া
লাড়কিপোড়া এলাকা দিয়ে জলের স্রোত কেটে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালক।
পুলিশ জানিয়েছে শ্রীনগর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে লেধন গ্রামে পাহাড়ে ধস নেমে পাহাড়ের একটি অংশ কয়েতটি বাড়ির উপর পড়লে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। রাজ্যের অন্য অংশে প্লাবনের জেরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্র ২০০ কোটি টাকা ত্রাণের জন্য বরাদ্দ করেছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মুফতি সঈদ রাজ্যের তরফে কাশ্মীরের জন্য ২৫ কোটি টাকা এবং জম্মু অঞ্চলের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছিল। ৬০ বছরের মধ্যে এই বন্যা ছিল সবচেয়ে ভয়ানক। প্রধানমন্ত্রী এই বন্যাকে জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলেও ঘোষণা করেছিলেন। সাত মাসের মাথায় রাজ্যে ফের একইভাবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।