'কাশ্মীর সমস্যা' দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তুরস্ককে দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানাল ভারত
জম্মু ও কাশ্মীর একান্তই দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এতে তুরস্কের কিছু করার নেই। ভারত সফরে আসা তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইপ এরদোয়ানকে দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়ে দিল ভারত।
নয়াদিল্লি, ২ মে : জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বহুপাক্ষিক হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। ভারত সফরে আসা এই রাষ্ট্রনেতাকে ভারতের তরফে জানানো হল যে কাশ্মীর একান্তই দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এতে তুরস্কের কিছু করার নেই।
ভারত সফরে আসার আগেই কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে এরদোয়ান মন্তব্য করেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ান। কাশ্মীরে পাকিস্তানের তরফে ভারতীয় সেনার উপরে হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়ে পাকিস্তানের দুটি সেনা ছাউনি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তা সত্ত্বেও এরদোয়ানের প্রস্তাবে ভারত রাজি হতে পারেনি।
সোমবার সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে ভারতের মতোই কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে তুরস্ককে। সন্ত্রাসবাদ যে মানবতার জন্য বড় হুমকি তা মেনে নিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়ছেন, সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে দুই রাষ্ট্রনেতাই সম্মত হয়েছেন।
এরদোয়ানের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে জানান, ভারতের অবস্থান খুব পরিষ্কার। অবিভক্ত কাশ্মীর ভারতের অংশ। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ভারত সফরে আসার আগে কি মন্তব্য করেছেন সেই প্রসঙ্গে ভারত যেতে চায় না। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের কি অবস্থান তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এবং সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীপ প্রসঙ্গে ভারত কোনওরকম আপোস করবে না সেটাও জানানো হয়েছে।
তুরস্ককে ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরদোয়ানও ভারতের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ও 'স্মার্ট সিটি মিশন' নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এছাড়া দুদেশের অর্থনীতিতেই একে অপরকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারত ও তুরস্ক।