কানপুর রেল দুর্ঘটনার আসল কারণ সামনে এল
কানপুর রেল দুর্ঘটনা নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে। তবে তার মধ্যেই রেলের 'কমিশন ফর সেফটি' নিজেদের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করল। আর সেখানে কোনওরকম ষড়যন্ত্রের উল্লেখ নেই।
কানপুর, ২৮ জানুয়ারি : কানপুর রেল দুর্ঘটনা নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে। তবে তার মধ্যেই রেলের 'কমিশন ফর সেফটি' নিজেদের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করল। আর সেখানে কোনওরকম ষড়যন্ত্রের উল্লেখ নেই। গত বছরের নভেম্বরে কানরপুরে রেল দুর্ঘটনায় ১৫০ জন মানুষ নিহত হন।[ভারতে রেলদুর্ঘটনার নেপথ্যে কে ? এনআইএ-এর ইঙ্গিত কোনদিকে ?]
এর আগে বিহার পুলিশ একটি চক্রকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই তাদের দিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এটা জানার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ। যদিও এই ঘটনা ষড়যন্ত্রই এমন কোনও প্রমাণ প্রাথমিক তদন্তের পর এখনও এনআইএ-র হাতেও উঠে আসেনি।[প্রেসার কুকার বোমা ব্যবহার হয় কানপুর রেল দুর্ঘটনায়]
রেলওয়ে সেফটি তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে কোচ ও ওয়াগনের ত্রুটির কথাই জানিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ট্রেনের কোচগুলি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া ট্রেনের চাকার কিছু সমস্যার কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।[উত্তরপ্রদেশে দুটি রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে হাত ছিল পাকিস্তানি আইএসআইয়ের!]
এদিকে গত সপ্তাহে অন্ধ্রপ্রদেশের কানেরুতে যে রেল দুর্ঘটনা হল তাতে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনারও তদন্তে নেমেছে এনআইএ। আর এখানেও প্রাথমিক তদন্তের পরে কোনওরকম ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব জাতীয় তদন্তকারী দলের হাতে উঠে আসেনি। এনআইএ সূত্রে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণহীন পুরনো রেললাইনের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কোনও বিস্ফোরকও ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
এর পাশাপাশি এআইএ-র তরফে মাওবাদী যোগ খুঁজে দেখারও চেষ্টা হয়েছে। অনেক সময়ে মাওবাদীরা রেল লাইনে গোলমাল পাকিয়ে রেল দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সেরকম কোনও সম্ভাবনাও এনআইএ-র নজরে আসেনি বলে জানানো হয়েছে।