'যৌন চক্রের আড়ত' হয়ে উঠেছে জেএনইউ, অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের
নয়াদিল্লি, ২৮ এপ্রিল : আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন আগে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ। সেই প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জেলেও যেতে হয়।
৩০০০ কন্ডোম, ২০০০ মদের বোতল রোজ মেলে JNU চত্ত্বরে!
এবারও সেই জেএনইউ ঘিরে নয়া চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন শিক্ষকদের একাংশ। সেন্টার ফর ল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স এর অধ্যাপক অমিতা সিংয়ের নেতৃত্বে একদল শিক্ষক দাবি করেছেন যে, 'জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় যৌন ব্যবসা ও যৌন চক্রের আড়ত হয়ে উঠেছে'।
তাঁদের দাবি, জেএনইউয়ের হস্টেল মেসগুলিতে যৌন ব্যবসার দালালরা থাবা বসিয়েছে। এখানে পড়তে আসা মেয়েদের যৌন ব্যবসায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ছেলেকেও এতে জড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। এবং এতে মদত রয়েছে কিছু অধ্যাপকেরও। ফলে সবমিলিয়ে এই জায়গাগুলি যৌনতার আখড়া হয়ে উঠেছে।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা মহিলাদের ধর্ষণ করে, কানহাইয়া কুমারের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক কর্তৃপক্ষকে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। সেইমতো গতবছর ২০০ পাতার নথিও তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়।
শিক্ষকদের দাবি, এছাড়াও বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হস্টেলের ভিতরে মদ্যপান ও অন্যান্য কুকর্ম করার জন্য হাজার জনের বেশি ছেলে-মেয়েকে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, তাদের ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হয়েছে।
'Anti-National'সার্চ করলে গুগুল ম্যাপ নিয়ে যাবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে!
অভিযোগ, রাত বাড়লেই জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে দামি গাড়ি আনাগোনা বেড়ে যায়। এই ঘটনায় কিছু নিরাপত্তারক্ষীও জড়িত রয়েছে। বহুবার হস্টেল ওয়ার্ডেনের তল্লাশিতে পড়ুয়াদের ঘরে বহিরাগত যুবকদের পাওয়া গিয়েছে। ছেলেদের ঘরে মেয়েদের বা উল্টোটাও দেখা গিয়েছে। অথচ হস্টেলে ছেলে বা মেয়ের একে অপরের ঘরে ঢোকা নিষিদ্ধ।
যদিও এই সব অভিযোগকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের একাংশ। এমন অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তাঁরা।