'জিয়া খানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার সাজানো ঘটনা', দাবি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের
মুম্বই, ২০ সেপ্টেম্বর : তিনবছর পরে বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড় সামনে এল। এক ব্রিটিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ঝুলন্ত অবস্থায় জিয়া খানের দেহ উদ্ধার সাজানো ঘটনা ছিল। কারণ অভিনেত্রীর মুখে ও গলায় যে দাগ পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, এটা সাধারণ আত্মহত্যার মামলা নয়। [আত্মহত্যাই করেছিলেন জিয়া, বম্বে হাইকোর্টে জানাল সিবিআই]
এই তথ্য সামনে আসার পরই জিয়া খান মৃত্যু মামলায় নয়া মোড় এল বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ পাইন জেমসের দাবির সঙ্গে ভারতীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দাবি মিলছে না। এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করেছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া। ফলে পাইন জেমসের রিপোর্ট আদালত গ্রহণ করবে কিনা সেটাই এখন দেখার।
গত মাসে এই নয়া ফরেনসিক রিপোর্ট সামনে আসে। কারণ সিবিআই মুম্বই উচ্চ আদালতে জানিয়েছিল যে খুন নয়, জিয়া আত্মহত্যাই করেছেন।
জিয়া খানকে ২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুতে নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জিয়ার মা রাবিয়া দাবি করেন, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারেন না। এরপরই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় আদালত।
গত ডিসেম্বরে সিবিআই এই মামলায় অভিনেতা তথা জিয়ার বয়ফ্রেন্ড সূরজ পাঞ্চোলির নাম চার্জশিটে রাখে। এবং পরে জানায় জিয়া আত্মহত্যাই করেছেন। সেই শুনে জিয়ার মা খুশি হতে পারেননি। মেয়ের মৃত্যু অন্যকিছুতে হয়েছে সন্দেহ করে তিনি ব্রিটিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করেন।
জেমস মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখে বিচার করেছেন এবং একইসঙ্গে জিয়ার শরীরের নানা অংশের ও ঘরের ভিতরের নানা ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিপোর্ট তৈরি করেছেন। আর প্রায় অনেক জায়গাতেই ভারতীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত হতে পারেননি।
এই রিপোর্ট হাতে আসার পরই রাবিয়ার আইনজীবী দীনেশ তিওয়ারি অভিযোগ জানিয়েছেন, ভারতীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি। আদালত এই রিপোর্ট যাতে গ্রহণ করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে আনে তারজন্য আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।