'সেরা চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল', অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়েই মৃত্যু আম্মার!
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটাতেই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আম্মার চিকিৎসকরা।
চেন্নাই, ৬ ফেব্রুয়ারি : তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটাতেই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আম্মার চিকিৎসকরা।[জয়ললিতা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি সিংহভাগ মানুষ জানেন না]
এদিন সাংবাদিক সম্মেলেন চিকিৎসকদের তরফে স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়, আম্মার মৃত্যু হয়েছে 'মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর' তথা একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ার কারণেই। ডাঃ রিচার্ড বেইলি জানিয়েছেন নেত্রীর উচ্চ শর্করা বা হাই ডায়বেটিস ছিল। তারউপর হৃদযন্ত্র ও অন্যান্য একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়াতেই মৃত্যু হয় তাঁর।[জয়ললিতার 'জয়া' থেকে 'আম্মা' হয়ে ওঠার কাহিনি]
ডাঃ বেইলি জানিয়েছেন, আম্মার শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না, তিনি কারোর সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। যদিও পরের দিকে অবস্থার উন্নতি হয়। এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে অল্পবিস্তর কথাবার্তা বলতে শুরু করেন তিনি।[(ছবি) সিনেমা ও রাজনীতির দুনিয়ায় অদেখা কিছু ছবি জয়ললিতার]
আম্মার মৃত্যু নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে ডাঃ বেইলি জানান, সরকারের অনুরোধে এবং সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটাতেই এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন। কোনও চাপ বা পরিস্থিতিতে আম্মার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও রকম তথ্য গোপন করা হয়নি।['আম্মা ক্যান্টিন' থেকে 'ফ্রি ল্যাপটপ', তামিলনাড়ুতে যে জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করেছেন জয়ললিতা]
অ্যাপেলো হাসাপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতেই সেরে উঠছিলেন আম্মা। কিন্তু হঠাৎই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে খাওয়াদাওয়াও শুরু করেছিলেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকা তার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। অ্যাপেলো হাসপাতালের তরফে এও জানানো হয়েছে যে প্রত্যেকদিন শশীকলা এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়মিত ভাবে আম্মার শারীরিক অবস্থার আপডেট দেওয়া হত।