কাশ্মীরে অশান্তির জন্য দায়ী জওহরলাল নেহেরু!
নয়াদিল্লি, ১৩ অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে অশান্তি অব্যাহত। হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পাক জঙ্গিরা এদেশে ঢুকে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশান্তি তৈরি করছে বলে খোদ দাবি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। [নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য : সব জানতেন নেহেরু, গান্ধী, প্যাটেল?]
তবে এই অশান্তির পিছনে একেবারে অন্য একটি কারণ তুলে ধরেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীরে অশান্তির জন্য দায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। কংগ্রেসের শিথিল নীতির জন্যই কাশ্মীরে দিনে দিনে অশান্তি বেড়েছে ও ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন কৈলাশ। [বিমান দুর্ঘটনায় নয়, ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির!]
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের কথায়, দেশভাগের পরে নেহেরু যদি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত না করতেন তাহলে এই অশান্তির প্রেক্ষাপট নাকি সৃষ্টিই হতো না। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার প্যাটেলকে দিয়ে নেহেরু এই কাজ করিয়েছিলেন বলে তোপ দেগেছেন বিজয়বর্গীয়। [স্বাধীন ভারতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন এঁরা!]
এখানেই থেমে না থেকে বিজয়বর্গীয়র তোপ, কাশ্মীরের প্রতি 'বিশেষ ভালোবাস' ছিল নেহেরুর। সেজন্যই উপত্যকাকে বিশেষ মর্যাদা দিতেও পিছপা হননি তিনি। [নেতাজির পর এবার লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়েও বিতর্ক!]
কৈলাশের এই বক্তব্য এবং শুক্রবার কাশ্মীর নিয়ে হওয়া সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য একেবারে ভিন্ন মেরুর। মোদী যেখানে কাশ্মীরবাসীর মন জয় করে এই সমস্যার সমাধান করার কথা বলছেন, সেখানে তাঁরই দলের সাধারণ সম্পাদক কাশ্মীরকে আলাদা করে বিচ্ছিন্ন মানসিকতার আমদানি করছেন। এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, গেরুয়াপন্থীরা একেবারে প্রথম থেকেই জওহরলাল নেহেরু ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে এসেছে। নেহেরুদের মুসলমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মোঘল সম্রাটেদর বংশধর বলা হয়েছে। ইংরেজদের হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা নাম ও ধর্ম বদলে হিন্দু হয়েছেন বলেও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে গেরুয়াপন্থীরা। এবার সেই দলে নাম লিখিয়ে বিজয়বর্গীয়ও নেহেরুকে কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি তীব্র আক্রমণ করলেন।